পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“২৯ এপ্রিল, ১৯৩৬ ‘Uttarayan' Santiniketan, Bengal কল্যাণীয়েষ্ণু, অভিমত দিতে আমি একান্ত নারাজ– ভালোই বলি আর মন্দই বলি এতে দেশের দুর্মুখকে জাগিয়ে তোলা হয়।. তোকে গোপনে বলি, রাজহংস বইখানি ভালো হয়েছে।...” (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৪৬২) রবীন্দ্রনাথের একান্ত সচিব সুধীরচন্দ্র কর –লিখিত ‘রবীন্দ্রআলোকে রবীন্দ্র জীবন’ (‘যুগান্তর’ শারদীয়া সংখ্যা ১৩৫৫) শীর্ষক নিবন্ধে, তিনি সেই দিনের কথা লিপিবদ্ধ করেন। তারই কিছু অংশ উদ্ধৃত হল—“ ১৩৪৩ সনের বৈশাখ। চলছে কবির পত্রপুট’ কাব্যের পালা।... কবি তখন “কোণার্ক”-বাসী। “কোণার্ক” গৃহের বারান্দার সামনে যে শিমূল গাছটি আছে, তার তলায় বসেছেন কবি সকাল বেলার কাজে। খ্যাতনামা সাহিত্যিকের কাব্যোপহার [ ‘রাজহংস’ ] এসে পৌঁছেছে হাতে, সেই ডাকেই। প্যাকেট থেকে বই খুলে উল্টেপাল্টে দেখলেন। হঠাৎ বললেন, “আমি পারি নি, কিন্তু এ পেরেছে, যা বলতে চেয়েছি— এর মধ্যে দেখছি কত সবল সুন্দর তার প্রকাশ ।” উত্তরকালে সজনীকান্ত"আত্মস্মৃতিতে রাজহংস সম্বন্ধে লিখেছেন —“রবীন্দ্রনাথের সেই প্রশংসা-দিয়া-কড়িয়া-লওয়ার ব্যবস্থায় মনে কিঞ্চিৎ বেদনা মিশ্রিত গ্রানি অনুভব করিয়াছিলাম, ফলে ‘রাজহংসের কোনও প্রশংসাপত্ৰই বাজারে দাখিল করি নাই।” তৎসত্ত্বেও ‘প্রবাসীতে ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় -লিখিত প্রশস্তি ও অন্যান্য স্থানে > ミ、>