পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখোপাধ্যায় ও শ্রীনন্দগোপাল সেনগুপ্ত। শ্রীসজনীকান্ত দাশ ছিলেন না। এই সংকলনটির বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নতুন একটি ংস্করণ প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। আর তারই দায়িত্ব ছিল সজনীকান্ত দাশের উপর। কিন্তু ঐ সংস্করণ শেষ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি।’ (‘বাবু বৃত্তান্ত’, পৃ. ৭৫) এখন প্রশ্ন হচ্ছে সমর সেন -উল্লেখিত পৃ. ২৭-এর ‘শ্রীসজনীকান্ত দাস’ ও পৃ. ৭৫-এর ‘শ্রীসজনীকান্ত দাশ এক ব্যক্তি কি? সনাক্ত করা সম্ভব হল না। আমার দুর্ভাগ্যবশত সমর সেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাই এই প্রশ্ন বর্তমান পাঠকের কাছেই পেশ করলাম। “সেটা হোতো সজনীকান্তের সংকলন’ অধ্যাপক ঘোষের এই উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আমি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি চিঠি এখানে উল্লেখ করছি। রবীন্দ্রনাথ ১ ৭/৯/৩৮ তারিখে শান্তিনিকেতন থেকে তাগিদ কোরো। একবার খসড়াটা আমার কাছে দাখিল কোরো। কারণ যখন আমার নাম থাকবে তখন দায়িত্ব আমার।” বাকিটা পাঠক বিচার করবেন। ছ, রবীন্দ্রনাথ ও তার রাবণ ভক্ত সজনীকান্তের দীর্ঘ সাহিত্যজীবনকে তিনটি যুগে বিভক্ত করা চলে। প্রথম যুগে তার মন্ত্র ছিল অশিববিনাশ। দ্বিতীয় যুগে তার স্বপ্ন ছিল নবসৃষ্টি। তৃতীয় যুগে তার লক্ষ্য হল ইতিহাসের অবলুপ্ত কক্ষের সত্যের সন্ধান। (‘রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত’, পৃ. ১৫১) “শনিবারের চিঠি’র জন্মের উষালগ্নে রবীন্দ্রনাথই ছিলেন তাদের একমাত্র বলভরসা। কিন্তু তার পরবর্তী ইতিহাস বড়ো বিচিত্র। >こ°