পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিখেছেন– “স্বদেশী আমলে তাহার কর্মজীবন কিরূপ ছিল তাহা বলিতে গিয়া রবীন্দ্রনাথ বাংলা দেশের নৈষ্কর্ম ?) ও দুষ্কৰ্ম বাদের প্রভূত নিন্দা করিয়াছিলেন, ফলে সংবাদপত্রে প্রতিবাদ ও সমর্থনের বান ডাকিয়াছিল।” (“আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৫৪৭)। মূল সাক্ষাৎকার বৃত্তান্ত ১৩৪৭ সালের বৈশাখের “শনিবারের চিঠি’তে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে সজনীকান্তের ‘রবীন্দ্রনাথ জীবন ও সাহিত্য’ গ্রন্থে ‘কর্মী রবীন্দ্রনাথ’ প্রবন্ধে তা সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের এই মন্তব্য ১৯৪০ সালের এপ্রিলের শেষ ভাগে বাংলা ও বাংলার বাইরে মূল বাংলায় ও ইংরেজি অনুবাদে বহু দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। ১৯৪০ জুন, রবীন্দ্রনাথ এপ্রিলের শেষে কালিম্পঙ যাত্রাকালে শিয়ালদহ স্টেশনে সাক্ষাতের পর সজনীকান্তের সঙ্গে তার আর যোগাযোগ হয়নি। এইসময় সজনীকান্ত মারাত্মক ভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শয্যাগত। ১ জুন ১৯৪০ সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথকে সমস্ত অবগত করে একটি পত্র লেখেন। উত্তর আসে ৩ জুন ১৯৪০ । উদবিগ্ন কবি সজনীকান্তের শীঘ্র আরোগ্য কামনা করে চিঠি লিখেছেন কালিম্পঙ থেকে। সুধাকান্ত রায়চৌধুরীর কাছ থেকে সজনীকান্ত জানতে পেরেছিলেন যে রবীন্দ্রনাথ তার ব্যাধি সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে আগ্রহশীল। সজনীকান্ত তার অসুখের ইতিহাস লিখে পত্ৰযোগে কবির কাছে পাঠালেন ও সেইমতো ব্যবস্থাপত্র’ এল (৬ জুন ১৯৪০)। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন—“আমার ডাক্তারির পক্ষে বলবার কথা এই যে, সাংঘাতিকতায় আমার ওষুধ ব্যামোকে ছাড়িয়ে যায় না। বায়োকেমিক বইটা ঘেঁটে দেখছিলুম যে ঐ চিকিৎসার মতে নেট্রাম সালফ ডায়াবেটিসের প্রধান ওষুধ ... অন্য ওষুধের সঙ্গে এর ব্যবহার চলে, অন্তত আমি তো ব্যবহার করেছি। দিনে তিনবার খেলে আপত্তি করে না, অ্যাকিউট ব্যাধিতে সেইটেই ব্যবস্থা।” > ○○