পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সজনীকান্ত বায়োকেমিক বিদ্যা আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে পারিবারিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুফলও পেয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ২৮ জুন ১৯৪০ সজনীকান্তের লেখা একটি চিঠি পেয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে কবির উত্তর আসে [ ৩০ জুন ১৯৪০ ] তারিখে লেখা একটি চিঠিতে। কবি লিখেছেন– “আমার ওষুধে ফল পেয়েছ। বিধাতা আমার প্রতি প্রসন্ন। যে বয়সে স্বভাবতই অন্য খ্যাতির বালিচাপা পড়ে, সেই বয়সে তিনি একটা নতুন পথ খুলে দিলেন। আমার জীবনচরিতের শেষ অধ্যায়ে এই খবরটা দিয়ে যেতে পারবে ...” রবীন্দ্রনাথ ২৮ জুলাই ১৯৪০ শান্তিনিকেতন থেকে সজনীকান্তকে লিখেছেন– “... তোমার কাজের মহলে একটা ডাক্তারি খিড়কির দরোজা হঠাৎ খুলে গেল— এর জন্যে দায়ী আমি। আশা করি কোনো পরিতাপের কারণ ঘটবে না। ভাল আছ বলে আন্দাজ করছি। চুপচাপ থাকাটা একটা খবর— ওটা আরো কিছুদিন বড় হেডলাইনে জাহির কোরো ...” ভাদ্র, ১৩৪৭, সজনীকান্তের দুটি বই প্রকাশিত হয়— ‘কলিকাল’ ও ‘কেড়স ও স্যাণ্ডাল’। সদ্য প্রকাশিত বই দুটি সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথের কাছে পাঠিয়েছিলেন। প্রাপ্তিসংবাদ দিয়ে ১০/৯/ ১৯৪০ তারিখে রবীন্দ্রনাথ লিখলেন—“শরীরটা অত্যন্ত ক্লান্ত ও অবসন্ন। তোমার বই দুটি পেয়েছি।..অক্টোবরের আরম্ভে পাহাড়ে পালাবার ইচ্ছা করছি। যাবার মুখে কলকাতায় দেখা হতে পারবে ...” এই চিঠি লেখার অব্যবহিতকাল পরে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় এসেছিলেন। সজনীকান্ত সেই সময় সাহিত্য-সভার সভাপতিত্বের দায়ে ভাগলপুরে গিয়েছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪০, রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে তার যোগে জরুরি তলব আসে। তৎক্ষণাৎ ফিরে এসেছিলেন সজনীকান্ত। উত্তরকালে সজনীকান্ত তার ‘আত্মস্মৃতি’তে লিখেছেন— > ○8