পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবি-কাহিনী সে শোক-সঙ্গীত শুনি কাদিত কাননবালা, নিশীথিনী হাহা করি ফেলিত নিশ্বাস, বনের হরিণগুলি আকুল নয়নে আহ। কবির মুখের পানে রহিত চাহিয়া । “হাহ। দেবি একি হোলো, কেন পুরিল না প্রাণ” প্রতিধ্বনি হোতো তার কাননে কাননে । শীর্ণ নিঝরিণী যেথা ঝরিতেছে মৃদু মৃদু, উঠিতেছে কুলু কুলু জলের কল্লোল, সেখানে গাছের তলে একাকী বিষণ্ণ কবি নীরবে নয়ন মুদি থাকিত শুইয়া— তুষিত হরিণশিশু সলিল করিয়া পান দেখি তার মুখপানে চলিয়। যাইত । শতরাত্ৰে পৰ্ব্বতের তুষারশষ্যার পরে বসিয়া রহিত স্তন্ধ প্রতিমার মত, মাথার উপরে তার পড়িত তুষারকণা, তীব্রতম শতবায়ু যাইত বহিয়া । দিনে দিনে ভাবনায় শীর্ণ হোয়ে গেল দেহ, প্রফুল্প হৃদয় হোলো বিবাদে মলিন, রাক্ষসী স্বপ্নের ভরে ঘুমালে ও শাস্তি নাই, পৃথিবী দেখিত কবি শ্মশানের মত এক দিন অপরাহ্লে বিজন পথের প্রান্তে কবি বৃক্ষতলে এক রয়েছে শুইয়া, পথ-শ্রমে শ্রান্ত দেহ, চিস্তায় আকুল হৃদি, বহিতেছে বিষাদের আকুল নিশ্বাস । হেন কালে ধীরি ধীরি শিয়রের কাছে জাসি नैांज्रांझेल ७क छन वटनम्न बॉजिक, চাহিয়া মুখের পানে কহিল করুণ স্বরে, ”কে তুমি গে। পথশ্ৰান্ত বিষন্ন পথিক ? অধরে বিষাদ ৰেন পেতেছে আসন তার নয়ন কহিছে যেন শোকের কাহিনী । (t