পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন-ফুল স্নান ভাব ধরিয়াছে গৃহ-ঘর-দ্বার ! গভীর নীরব ঘর, শিহরে যে কলেবর ! হৃদয়ে রুধিরোচ্ছাস স্তব্ধ হয়ে বয়— বিষাদের অন্ধকারে গভীর শোকের ভারে গভীর নীরব গৃহ অন্ধকারময় ! কে ওগো নবীনা বালা উজলি পরণশালা বসিয়া মলিন ভাবে তৃণের আসনে ? কোলে তার সঁপি শির কে শুয়ে হইয়া স্থির থেক্যে থেক্যে দীর্ঘশ্বাস টানিয়া সঘনে— স্বদীর্ঘ ধবল কেশ ব্যাপিয়া কপোলদেশ, শ্বেতৰ্ম্মশ্র ঢাকিয়াছে বক্ষের বসন— অবশ জ্ঞেয়নিহারা, স্তিমিত লোচনতারা, পলক নাহিক পড়ে নিম্পৰ্ম্ম নয়ন । বালিকা মলিনমুখে বিশীর্ণ বিষাদস্তুখে, শোকে ভয়ে অবশ সে স্বকোমল-হিয়া । আনত করিয়া শির বালিকা হইয়া স্থির পিতার-বদন-পানে রয়েছে চাহিয়া । এঙ্গোখেলো বেশবাস, এলোখেলো কেশপাশ অবিচল মাখিপার্শ্ব করেছে আৰুত । নয়নপলক স্থির, হৃদয় পরাণ ধীর, শিয়ায় শিরায় রহে স্তবধ শোণিত । হৃদয়ে নাহিক জ্ঞান, পরাণে নাহিক প্রাণ, চিন্তার নাহিক রেখা হৃদয়ের পটে ! নয়নে কিছু না দেখে, শ্রবণে স্বর না ঠেকে, শোকের উচ্ছ্বাস নাহি লাগে চিত্ততটে ! সুদীর্ঘ নিশ্বাস ফেলি, সুধীরে নয়ন মেলি ক্রমে ক্রমে পিতা তার পাইলেন জ্ঞান ! সহসা সভয়প্রাণে দেখি চারিদিক পানে আবার ফেলিল শ্বাস ব্যাকুলপরাণ— কি যেন হারায়ে গেছে, কি যেন জাছে মা আছে, IVථ