পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একলাই বদলে দিয়েছে— এত বড় প্রতিভা ওর। একটা বড় সম্মান ওর প্রাপ্য। প্ৰণাম করিয়া বিদায় লইবার মুখে বলিলাম আপনি শীগগির সুস্থ হয়ে উঠুন। তাহার মুখে স্নান হাসি দেখা দিল, কষ্টের সঙ্গে বলিলেন, সেটা কি আমার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। (আত্মস্মৃতি’, श्रृं. 6 & ४ ।। অনেকের সঙ্গে কবির আশেপাশেই ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের তিরোধানের পর, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে, আশ্বিন “শনিবারের চিঠি’র রবীন্দ্রসংখ্যা প্রকাশিত হয়। ১৩৪৯ বঙ্গাব্দের বৈশাখে প্রকাশিত হল সজনীকান্তের ‘পাঁচশে বৈশাখ’ কাব্যগ্রন্থখানি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই গ্রন্থের স্বত্বার্জিত অর্থ কলিকাতাস্থ তৎকালীন —‘রবীন্দ্রনাথ জীবন ও সাহিত্য’ গ্রন্থে। এই গ্রন্থটি আজও রবীন্দ্রগবেষকদের কাছে অপরিহার্য। এই প্রসঙ্গে আরও একটি কথা উল্লেখের দাবি রাখে রবীন্দ্রনাথের তিরোধানের বহুকাল পরে ১৩৫৯, মাঘ সজনীকান্তের ‘ভাব ও ছন্দ’ গ্রন্থখানি প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে সজনীকান্তের মাইকেলবধ-কাব্য সংকলিত হয়। গ্রন্থটি প্রকাশকালে সজনীকান্ত লিখেছেন– “মাইকেলবধকাব্য’ ‘শনিবারের চিঠি’র বিশেষ “কবিতা-সংখ্যা”য় (ভাদ্র, ১৩৪৪) সম্পূর্ণ প্রকাশিত হইয়াছিল। রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক মাইকেল-বধ উপলক্ষ্যে ইহা রচিত হইলেও স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ রচনাটিকে সপ্রশংস আশীর্বাদ জানাইয়াছিলেন। পরে তাহার সহিত আমার সাক্ষাৎ হইলে তিনি নিজের জীবনের একটি ঘটনা উল্লেখ করিয়া আমাকে জানান, একবার > ○○