রবীন্দ্র-রচনাবলী স্বন্ধে তার রাখি মাথা কহিল কম্পিত স্বরে,
- আমিও তোমারে কবি বাসি না কি ভাল ?” কথা না ফুরিল আর, শুধু অশ্রজলরাশি
আরক্ত কপোল তার করিল প্লাবিত । এইরূপ মাঝে মাঝে অশ্রজলে অশ্রজলে নীরবে গাইত তারা প্রণয়ের গীত । অরণ্যে দুজনে মিলি আছিল এমন মুখে জগতে তারাই যেন আছিল দুজন— যেন তারা স্বকোমল ফুলের স্বরভি শুধু, যেন তারা অপসরার সুখের সঙ্গীত । আলুলিত চুলগুলি সাজাইয়া বনফুলে ছুটিয়া আসিত বালা কবির কাছেতে, একথা ওকথা লয়ে কি যে কি কহিত বালা কবি ছাড়া আর কেহ বুঝিতে নারিত। কতু বা মুখের পানে সে যে কি রহিত চেয়ে, ঘুমায়ে পড়িত যেন হৃদয় কবির। কন্তু বা কি কথা লয়ে সে যে কি হাসিত হাসি, তেমন সরল হাসি দেখে নি কেহই । আঁধার আমার রাত্রে একাকী পৰ্ব্বতশিরে সেও গো কবির সাথে রহিত দাড়ায়ে, উনমত্ত ঝড় বৃষ্টি বিদ্যুং অশনি আর পৰ্ব্বতের বুকে যবে বেড়াত মাতিয়া, তাহারে হৃদয় যেন নদীর তরঙ্গ-সাথে করিত গো মাতামাতি হেরি সে বিপ্লব— করিত সে ছুটাছুটি, কিছুতে সে ডরিত না, এমন দুরন্ত মেয়ে দেখি নি ত আর ! কবি যা কহিত কথা শুনিত কেমন ধীরে, কেমন মূপের পানে রহিত চাহিয়া । বনদেবতার মত এমন সে এলোথেলো, কখনো দুরন্ত অতি ঝটিকা যেমন,