পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) প্রথম খণ্ড.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खदि-कांश्निौ কখনো এমন শাস্ত প্রভাতের বায়ু যথা নীরবে শুনে গে। যবে পাখীর সঙ্গীত । কিন্তু, কলপনা, যদি কবির হৃদয় দেখ দেখিবে এখনো তাহা পূর্ণ হয় নাই । এখনো কহিছে কবি, “আরো দাও ভালবাসা, আরো ঢালো’ ভালবাস। হৃদয়ে আমার ।” প্রেমের অমৃতধারা এত যে করেছে পান, তবু মিটিল না কেন প্রণয়পিপাসা ? প্রেমের জোছনাধারা যত ছিল ঢালি বালা কবির সমুদ্র-হৃদি পারে নি পূরিতে । স্বাধীন বিহঙ্গ-সম, কবিদের তরে দেবি পৃথিবীর কারাগার যোগ্য নহে কন্তু । আমন সমুদ্র-সম আছে যাহাঙ্গের মন তাহাদের তরে দেবি নহে এ পৃথিবী । তাদের উদার মন আকাশে উড়িতে যায়, পিঞ্জরে ঠেকিয়া পক্ষ নিয়ে পড়ে পুন:, নিরাশায় অবশেষে ভেঙ্গে চুরে যায় মন, জগৎ পূরায় তার আকুল বিলাপে । কবির সমূদ্র বুক পূরাতে পারিবে কিসে প্রেম দিয়া ক্ষুদ্র ওই বনের বালিকা । কাতর ক্ৰন্দনে মাহ আজিও কাদিল কবি, “এখনও পূরিল না প্রাণের শূন্ততা ।” বালিকার কাছে গিয়া কাতরে কহিল কবি,

  • আরো দাও ভালবাসা হৃদয়ে ঢালিয়া । আমি যত ভালবাসি তত দাও ভালবাসা,

নহিলে গো পূরিবে না প্রাণের শূন্ততা।” শুনিয়া কবির কথা কাতরে কহিল বালা, “যা ছিল আমার কবি দিয়েছি সকলি— এ হৃদয়, এ পরাণ, সকলি তোমার কবি, সকলি তোমার প্রেমে দেছি বিসর্জন । २S