পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রাম রাজকুমার নরসিংহ মল্লদেব বাহাদুরের সহায়তায় ও তৎকালীন মেদিনীপুর জেলা অধিকর্তা বিনয়রঞ্জন সেনের উদ্যোগে এবং ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সজনীকান্ত দাসের সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে ১৩৪৫ আষাঢ় মাসে বঙ্কিমচন্দ্র জন্মশতবার্ষিক দিবসে ‘বঙ্কিম রচনাবলী’র প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিল। ‘বঙ্কিম রচনাবলী ইংরেজি ও বাংলা রচনায় সম্পূর্ণ হয় নয় খণ্ডে ১৩৪৮ সালের পৌষে। পত্র-২৯ 彰 ১ ১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৯ কলকাতা পৌরসভা -আয়োজিত ‘খাদ্য ও পুষ্টি প্রদর্শনার (Food and Nutrition Exhibition) উন্মোচন অনুষ্ঠানের পৌরোহিত্য করবার জন্য রবীন্দ্রনাথ আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। স্থির হয়েছিল শান্তিনিকেতন থেকে ট্রেন হাওড়ায় পৌছবার পর, মেদিনীপুরগামী ট্রেন ছাড়বার মধ্যবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ এই অনুষ্ঠানের পৌরোহিত্য করবেন। ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৯, শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথ মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, সঙ্গে ছিলেন কৃষ্ণ কৃপালনি, অনিলকুমার চন্দ, সুধাকান্ত রায়চৌধুরী ও শচী রায়। প্রদর্শনীর পক্ষ থেকে কবিকে স্টেশনে স্বাগত জানান তৎকালীন কলকাতার মেয়র নিশীথ সেন, কলকাতা হাইকোর্টের লব্ধ প্রতিষ্ঠিত ব্যারিস্টার। রবীন্দ্রনাথ উৎসব ক্ষেত্রে “খাদ্য ও পুষ্টি” সম্বন্ধে একটি ক্ষুদ্র ভাষণ পাঠ করেন। এবং খাদ্য ও পুষ্টি, কলিকাতা পৌর পরিষদের অনুষ্ঠিত, খাদ্য ও পুষ্টি সম্পৰ্কীয় প্রদর্শনীতে পঠিত।” প্রবাসী, ১৩৪৬ পৌষ সংখ্যায় পৃ. ৪ ১৮-১৯ প্রকাশিত হয়। (দ্র, রবীন্দ্রজীবনী-৪, পৃ. ২০৯) রচনাটির শেষ অনুচ্ছেদের আগে আরো একটি দীর্ঘ অনুচ্ছেদ পাওয়ায় যায় ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র (১৬ ডিসেম্বর ১৯৩৯) প্রতিবেদনে : “গত মহাযুদ্ধের পর যে ক্ষোভ আমি প্রকাশ করেছিলাম আজ তার পুনরুক্তি সময়োচিত হবে। আমি বলেছিলাম আমাদের দেশে সামরিক অবরোধ নেই, কিন্তু চিরদৈনের অবরোধে দেশের > \లవ