পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটো অনুবাদ-কবিতা প্রকাশিত হইয়াছে; অনুবাদটি রবীন্দ্রনাথের বলিয়া মনে হয়।” (দ্র. ‘রবীন্দ্রনাথ জীবন ও সাহিত্য’, পৃ. ২১২) রবীন্দ্রনাথের বাল্য ও কৈশোরের নামী-বেনামী রচনাগুলি আবিষ্কারের গবেষক সজনীকান্ত ৫/১২/১৯৩৯ তারিখে পত্ৰযোগে এই সম্বন্ধে তার অভিমত জানতে চেয়েছিলেন। (দ্র, সজনীকান্তের চিঠি, সংখ্যা-১ ৪) রবীন্দ্রনাথ ৬/১২/১৯৩৯ তারিখের পত্রে সজনীকান্তকে নিশ্চিত সাক্ষ্য দিতে পারেননি। তবে ভাষাটা যে তার সেকেলে ভাষার মতো, পত্রিকায় ঠিক এই জাতীয় ‘কবিতা লিখিয়ে’ আর কেহ ছিল না।” এই অনুবাদটি সম্পর্কে শ্রীপ্রশান্তকুমার পাল লিখেছেন—“তারকাকুসুমচয় ছড়ায়ে আকাশময়”—প্রথম পঙক্তিযুক্ত ৮ ছত্রের এই অনুবাদ কবিতাটি ‘রূপান্তর’ ( ১৩৭২ । গ্রন্থের পরিশিষ্ট ২-তে ‘রবীন্দ্রনাথ-কৃত রূপান্তর বলিয়া অনুমিত’ মন্তব্য সহ মুদ্রিত হয়েছে। পৃ. ১৯২-৯৩ ৷৷ এখানে পঙক্তিগুলি অন্যভাবে বিন্যস্ত হওয়ার জন্য কাব্যরূপটি অনেক বেশি স্পষ্ট।” (দ্র, রবিজীবনী-১, পৃ. ২৪৭) 거G-O o ১ নাতনি অর্থাৎ নন্দিনী দেবী (১৯২১-১৯৯৫)। রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবীর পালিতা কন্যা, ডাক নাম পুষু ও পূপে। নন্দিনী দেবী স্মৃতি থেকে লিখেছেন : “শুনেছি আমার বয়স যখন দশমাস সেই সময় আমার বাবা-মা আমাকে রথীন্দ্রনাথের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।. যতদূর মনে পড়ে ১৯২২ সালে আমি কবিগুরুর পরিবারভুক্ত হই।” (দ্র. রবিজীবনী-৮, পৃ. ২৭৪-৭৫) নন্দিনী দেবীর পিতা ছিলেন কচ্ছদেশীয় বণিক। নাম— চতুর্ভূজ দামোদর। ১৯২১ সালে সপরিবারে তারা শান্তিনিকেতনে বসবাস করতে আসেন। (দ্র, রবীন্দ্রজীবনী-৪, পৃ. ২১৩) ১৯৩৯, ৩০ ডিসেম্বর (১৪ পৌষ ১৩৪৬) বঙ্গের অধুনা মুম্বইএর অজিত সিং মেরারজী খাটাউ-এর সঙ্গে নন্দিনী দেবীর বিপুল সমারোহে বিবাহ হয়েছিল। ১ ৭২