পাতা:দুই বোন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বোন
৫৭

যায়, বেদনা বেড়ে ওঠে, জ্বর যায় চড়ে, ডাক্তার ভেবে পায় না, এ কী হােলো।

 অবশেষে ঊর্মিমালাকে তার দিদি ডেকে পাঠালে। বললে, “কিছুদিন তাের কলেজ থাক্‌, আমার সংসারটাকে রক্ষা কর্ বােন। নইলে নিশ্চিন্ত হয়ে মরতে পারছিনে।”

 এই ইতিহাসটা যাঁরা পড়ছেন এই জায়গাটাতে এসে মুচকে হেসে বলবেন, বুঝেছি। বুঝতে অত্যন্ত বেশি বুদ্ধির দরকার হয় না। যা ঘটবার তা-ই ঘটে, আর তা-ই যথেষ্ট। এমনাে মনে করবার হেতু নেই ভাগ্যের খেলা চলবে তাসের কাগজ গােপন ক’রে, শর্মিলারই চোখে ধুলাে দিয়ে।

 দিদির সেবা করতে চলেছি ব’লে ঊর্মির মনে খুবই একটা উৎসাহ হােলাে। এই কর্তব্যের খাতিরে অন্য সমস্ত কাজকে সরিয়ে রাখতেই হবে। উপায় নেই। তা ছাড়া এই শুশ্রূষার কাজটা ওর ভাবীকালের ডাক্তারি কাজেরই সংলগ্ন, এ-তর্কও তার মনে এসেছে।

 ঘটা ক’রে একটা চামড়া-বাঁধানাে নােটবই নিলে। তার মধ্যে রােগের দৈনিক জোয়ারভাঁটার পরিমাণটাকে রেখাঙ্কিত করবার ছক কাটা আছে। ডাক্তার