দিলে। জানে ঐ ছবিটা দেখলে শশাঙ্ক খুব বিদ্রূপ করবে। তবু ঊর্মি কিছুতেই কুণ্ঠিত হবে না তার বিদ্রূপে; এই তার প্রায়শ্চিত্ত। নীরদের সঙ্গে ওর বিবাহ হবে এই প্রসঙ্গটা দিদিদের বাড়িতে ও চাপা দিত। অন্যেরাও তুলত না কেননা এ প্রসঙ্গটা ওখানকার সকলের অপ্রিয়। আজ হাত মুঠো ক’রে ঊর্মি স্থির করলে—ওর সকল ব্যবহারেই এই সংবাদটা জোরের সঙ্গে ঘোষণা করবে। কিছুদিন থেকে লুকিয়ে রেখেছিল এনগেজমেণ্ট আঙটি। সেটা বের ক’রে পরলে। আঙটিটা নিতান্তই কম দামের,—নীরদ আপন অনেস্ট গরিবিয়ানার গর্বের দ্বারাই ঐ সস্তা আঙটির দাম হীরের চেয়ে বেশি বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ভাবখানা এই যে, “আঙ্টির দামেই আমার দাম নয় আমার দামেই আঙটির দাম।”
নিজেকে যথাসাধ্য শোধন করে নিয়ে ঊর্মি অতি ধীরে লেফাফাটা খুললে।
চিঠিখানা প’ড়ে হঠাৎ লাফিয়ে উঠল। ইচ্ছা করল নাচতে, কিন্তু নাচ ওর অভ্যেস নেই। সেতারটা ছিল বিছানার উপর, সেটা তুলে নিয়ে সুর না বেঁধেই ঝনাঝন ঝংকার দিয়ে যা-তা বাজাতে লাগল।