পাতা:দুই বোন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৬
দুই বোন

আমিই তাকে নানা কথা ব’লে ভুলিয়ে রেখেছিলুম। তারি বাড়ি বিকানীয়রে, তার স্ত্রী মরেছে মশারিতে আগুন লেগে, আর একটা বিয়ের সন্ধানে আছে।”

 “তাহলে এখন থেকে হিসেব ক’রে সে রোজ আসবে যখন আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাব। দিন স্ত্রীর ঠিকানা না মেলে ততদিন তার স্বপ্নটা জমবে।”

 “আমাকে বলে যেয়ো ওর কাছ থেকে কী কাজ আদায় করতে হবে। ভাব দেখে বোধ হয় আমি পারব।”

 আজকাল শশাঙ্কর মুনফার খাতায় নিরেনব্বইয়ের ওপারে যে মোটা অঙ্কগুলো চলৎ অবস্থায়, তারা মাঝে মাঝে যদি একটু সবুর করে সেটাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠবার মতো চাঞ্চল্য দেখা যায় না। সন্ধ্যাবেলায় রেডিয়োর কাছে কান পাতবার জন্যে শশাঙ্ক মজুমদারের উৎসাহ এতকাল অনভিব্যক্ত ছিল। আজকাল ঊর্মি যখন তাকে টেনে আনে তখন ব্যাপারটাকে তুচ্ছ এবং সময়টাকে ব্যর্থ মনে হয় না। এরোপ্লেন-ওড়া দেখবার জন্যে একদিন ভোরবেলা দমদম পর্যন্ত যেতে হোলো, বৈজ্ঞানিক কৌতুহল তার প্রধান আকর্ষণ নয়। নিউ