সকালের কাজ সেরে শশাঙ্ক বাড়ি ফিরে এসে বললে, “এ কী ব্যাপার। পুতুলের বিয়ে নাকি।”
“হায়রে কপাল, আজ তােমার জন্মদিন, সে কথাটাও ভুলে গেছ? যাই বলো বিকেলে কিন্তু তুমি বেরােতে পারবে না।”
“বিজ্নেস মৃত্যুদিন ছাড়া আর কোনো দিনের কাছে মাথা হেঁট করে না।”
“আর কখনাে বলব না। আজ লােকজন নেমন্তন্ন করে ফেলেছি।”
“দেখাে শমিলা, তুমি আমাকে খেলনা বানিয়ে বিশ্বের লােক ডেকে খেলা করবার চেষ্টা কোরাে না” এই ব’লে শশাঙ্ক দ্রুত চলে গেল। শর্মিলা শোবার ঘরে দরজা বন্ধ ক’রে খানিকক্ষণ কাঁদলে।
অপরাহ্ণে লােকজন এল। বিজনেসের সর্বোচ্চ দাবি তারা সহজেই মেনে নিলে। এটা যদি হােত কালিদাসের জন্মদিন তবে শকুন্তলার তৃতীয় অঙ্ক লেখবার ওজরটাকে সকলেই নিশ্চয় নিতান্ত বাজে ব’লে ধরে নিত। কিন্তু বিজনেস! আমােদপ্রমোেদ যথেষ্ট হােলাে। নালুবাবু থিয়েটারের নকল ক’রে সবাইকে খুব হাসালেন, শর্মিলাও সে হাসিতে যােগ দিলে।