পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रक्रमांबछौ عليها تم { זיאה . ' o আমাদের সষ্ট্য,বলিয় মনে হয় না--অর্থাৎ তাহাতে সত্য আমাদের মনে অঙ্কিত হয় না । লেখার বিষয়েও তাহাই বলা যায়। আমি যে ভাবটা নিকটে দেখিতে পাই, সেই ভাবটাই যদি বড় করিয়া না আঁকি, ও তাহার বিপরীত দিকের সীমান্ত যদি অনেকটা ক্ষুদ্র, অনেকটা ছায়াময়, অনেকটা অদৃশ্ব করিয়া না দিই—তবে তাহাতে কোন উদ্দেশুই ভাল করিয়া সাধিত হয় না ; না সমস্তটার ভাল ছবি পাওয়া যায়, না একাংশের ভাল ছবি পাওয়া যায়। এই জন্যই লেখক-চিত্রকরদিগকে পরামর্শ দেওয়া যায়, যে ষে-ভাবটাকে কাছে দেখিতেছ, তাহাই বড় করিয়া অঁাক ; ভাবিয়া চিন্তিয়া, বিচার করিয়া, সত্যের সহিত পরামর্শ করিয়া—ন্যায়কে বজায় রাখিবার জন্য তাহাকে খাট করিবার কোন আবশ্বক নাই । বিজ্ঞতা। সংকৰ্ম্ম অহষ্ঠানের অনেক বাধা আছে, কিন্তু সকলের চেয়ে বোধ করি একটি গুরুতর বাধা আছে! যখন বড় বড় বিজ্ঞগণ ঠোট টিপিয়া, চোখে চশমা, আঁটিয়া শিশু জুকুষ্ঠানটিকে ঘিরিয়া বসেন, সোজা সোজা কাজের মধ্য হইতে বাকা বাকা উদ্দেপ্ত বাহির করিতে থাকেন, ও পরস্পর চোখ-টেপাটিপি করিয়া বলিতে থাকেন "ওহে, বুঝেছ এ সমস্ত কেন ? তখন বোধ করি উৎসাহের রক্ত জল হইয়া যায়, উদ্যমের হাত পা শিথিল হইয়া পড়ে। এই সকল তীক্ষ্ণ নাসিক, ক্ষুরোজ্জল চক্ষু, ধারাল পেচালবুদ্ধিগণ তিল হইতে তাল, সামান্য হইতে অসামান্ত, সৎ হইতে অসং আবিষ্কার করিয়া সম্ৰহঠানের প্রাণে বাক কটাক্ষপাত করিয়া তাহার-চোখ দিয়া জল তাহার বুক দিয়া রক্ত বাহির করিয়া দেন। সর্পজাতি, বোধ করি, বড় বুদ্ধিমান হইবে, নহিলে তাহারা বাকিয়া চলে কেন ? হে বিজ্ঞগণ, তোমরাও খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু একটা বিষয় তোমাদের জানা নাই, পৃথিবীতে সিধা জিনিষও অনেক আছে ; তোমাদের প্রাণের বাকী আশিতে যে একটা বাক ছায়া দেখিতেছ, জগতের চেহারাখানা নিতান্তই আমনতর না । হায় হায়! জন্মেজয় যখন সৰ্পসত্ৰ করিয়াছিলেন, তখন কি গোটাকতক টোড়া সাপই মরিয়াছিল, তোমাদের মত বিষাক্ত বুদ্ধিমান সাপগুলা ছিল কোথায় ? তুমি সৎকাৰ্য্য করিতেছ বলিয়া বিজ্ঞ লোকেরাও যে তাহাকে সৎ মনে করিবে, এ কি করিয়া আশা করা যায় ? তাহা হইলে বিধাতা তাহাদিগকে বিজ্ঞ করিয়াই গড়িলেন