পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিfঞ্জবেথ । * 8.5 পরিত্যাগ করিয়া আসিবার পূৰ্ব্বে সেই চিরস্মরণীয় ব্যক্তির স্মরণার্থ কিঞ্চিং রাখিয়া আসিতেও জুটি করিলেন না। মহাত্মা মহাশয়ের সমাধির উপর যে একটি দারুময় ক্রুশ যন্ত্র স্থাপিত হইয়াছিল, এলিজিবেথ এক খানি তীক্ষাগ্র পাষাণখণ্ড কুড়াইয়া লইয়া তাহার উপরি শক্তি অনুসারে কেবল এই মাত্র লিখিয়। রাখিলেন যে, “ হায় ! এখন প্রকৃত সাধু ও যথার্থ ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তিটি কালগ্রাসে পতিত হইলেন, কোন ব্যক্তি তাস্থা মনেও আনিলেন না।” অনন্তর সেই সমাহিত শবের নিকটে বিদায় লইয়। সেই শ্মশানভূমি পরিত্যাগ করিলেন, এবং অত্যন্ত চিন্তিত মনে সারাপূলে ফিরিয়া আসিয়া, যে ভগ্ন কুটারে থাকিয়া পুৰ্ব্ব কএফ রাত্রি যাপন করিয়াছিলেন, তাছাতেই পুনৰ্ব্বার প্রবেশ করিলেন। রজনী প্রভাত। হইলে পর, এলিজিবেথ গাত্ৰোথান করিলেন, এবং প্রস্থান করিবার জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিলেন। গৃহের অধিকারী জানিতে পারিয়া নিকটস্থ হইয়া তাহার হাতে তিনটী টাকা দিয়া কছিলেন, “ আমি নিশ্চয় কহিতেছি, স্বৰ্গীয় মহাশয়ের গাত্রবস্ত্র হইতে যে টাকার পোটলীটি লইয়াছিলাম, তাছাছইতে এই ঘর ভাড়া, আছারের ব্যয় এবং অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার খরচ পত্র বাদ দিয়া যাহা অবশিষ্ট ছিল, তোমাকে প্রদান করিলাম।” এলিজিবেথ অতি সমাদর পূর্বক তাহাঁতে দৃষ্টিপাত করিলেন, এবং বোধ করিলেন যে সেই স্বৰ্গীয় মহাশয় স্বৰ্গহইতেই তাহা তাকাকে পাঠাইয়। দিয়াছেন। মনে মনে এই প্রকার উদ্বোধ । হওয়াতে তিনি তখন উচ্চ স্বরে কছিয়া উঠিলেন, “ ছে রক্ষক ! হে পালক মহাশয়! এই প্রসাদ দানেই আপনাকে দীর্ঘজীবী করিতেছেন। আপনার সহিত আমার আর দেখা, সুাক্ষাৎ হইবার সম্ভাবনা নাই সত্য বটে, কিন্তু আপনি । আমাকে এখনও প্রতিপালন করিতে নিবৃত্ত হন নাই।” ।