পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষণোৎসব । $ 2 সাহিত্যসেবী কবি-দার্শনিক অধ্যাপকগণ-সেই উৎসবে আমন্ত্রিত ও সম্বৰ্দ্ধিত হইতেন ; তাই সে উৎসবকে "সারস্বত উৎসব’ নামে অভিহিত করিলাম । নচেৎ, উৎসবের প্রকৃত ন}ম-“লক্ষ্মণোৎসব’ । নবদ্বীপধিপতি মহারাজ লক্ষ্মণসেন ঐ উৎসবের সৃষ্টি কiিয়ছিলেন বলিয়, তাহারই নামানুসারে ঐ উৎসব সাধারণতঃ লক্ষ্মণোৎসব’ নামে অভিহিত হইত। নবদ্বীপধিপতির প্রাসাদ—উৎসবের তিন দিন বিদ্বজনগণে পরিপূর্ণ থাকি ত; সাহিত্যিক-কবি-দার্শনিকগণের প্রতিভা-প্রতায় সে তিন দিন রাজধানী উদ্ভাসিত হইত। মহারাজ লক্ষ্মণসেন স্বয়ং বিদ্বজনগণের পরিচর্য্যা করিতেন ; ক্ষুদ্রই হউন বা বড়ই হউন, সকল সাহিত্যসেবীকেই সমানভাবে সমাদর করিতেন। কোন কবি কি কাব্য-গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন, উৎসবের তিন দিন তাহার পরিচয় লওয়া হইত ; কোন দার্শনিক কোন দৰ্শন-শাস্ত্রের কি নূতন টাকা উদ্ধার করিয়াছেন, উৎসবের তিন দিন তাহার আলোচনা হইত ; কোন সাহিত্যিক কিরূপভাবে সাহিত্যের শ্ৰীবৃদ্ধি-সাধন করিয়াছেন, উৎসবের তিন দিন তাই জ্ঞাপন করা হইত। সাহিত্যের শ্ৰীবৃদ্ধিকল্পে র্তাহাদের কার্য্য-কলাপ অবগত হইয়া, নবদ্বীপধিপতি র্তাহাদিগকে যথাযোগ্য পুরস্কারাদি-প্রদানে আপ্যায়িত এবং সম্মান-ভূষণে ভূষিত করিতেন । পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব বৎসর অপেক্ষ। এ বৎসর অধিক সমারোহের আয়োজন হইয়াছিল। মহারাজ লক্ষ্মণসেন, এ বৎসর নানা স্থানের সাহিত্যাকুরাগী সাহিত্যসেবী-কবি-দার্শনিক প্রভৃতিকে নিমন্ত্রণ করিয়া অনিয়াছিলেন।