পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র-৩৩ ১ পুলিনবিহারী সেন (১৯০৮-১৯৮৪)। খ্যাতনামা রবীন্দ্রবিশারদ। ১৩৩৫ সালে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় তার কর্মজীবন শুরু। ১৯৩৯ থেকে তিনি বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগে যোগদান করেছিলেন। বিস্মৃতপ্রায় রবীন্দ্ররচনার সূচী ও সংকলন, তার জীবনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অবদান। রবীন্দ্র-রচনাবলীর সম্পাদক মণ্ডলীর অন্যতম প্রধান, কিশোরীমোহন সাঁতরা অসুস্থ হওয়ায় তারই স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন পুলিনবিহারী সেন। পত্রে “আগামী রবিবার”—অর্থাৎ ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ পুলিনবিহারী সেন শান্তিনিকেতনে আসবেন রচনাবলীকে উপলক্ষ করে। ‘ঐ আলোচনা ক্ষেত্রে’ সজনীকান্তের উপস্থিতি রবীন্দ্রনাথের কাছে একান্ত প্রয়োজন। সেই সুবাদে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে জরুরি তলব করে ১/২/১৯৪০ তারিখে, বৃহস্পতিবার সজনীকান্তকে এই চিঠিটি লিখেছিলেন। ‘আত্মস্মৃতিতে সজনীকান্ত লিখেছেন– চিঠি প্রাপ্তির পরের দিনই অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ শনিবার সজনীকান্ত কবি সকাশে উপস্থিত হয়েছিলেন। (দ্র, ‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৩৫৬) কিন্তু রবীন্দ্রনাথকে লেখা তার ৩/২/৪০ তারিখের চিঠিটি অন্যরূপ সাক্ষ্য দেয়। পত্রসূত্রে জানা যায় যে ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০, বেলা ১২টায় র্তার শান্তিনিকেতনে যাওয়ার দিন স্থির হয়। (দ্র, সজনীকান্তের পত্র-১৮) পত্র-৩৪ ১ মার্চ ১৯৪০ অর্থাৎ ১৩৪৬-এর ফাল্লনের গোড়ায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের তৎকালীন সভাপতি হীরেন্দ্রনাথ দত্ত অবসর গ্রহণ করবেন। ফাল্লুনের তৃতীয় সপ্তাহে কাৰ্যনির্বাহক সমিতির কর্মধ্যক্ষ-নিয়োগ-সভায় নতুন সভাপতির নাম প্রস্তাব করার প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথ কখনও পরিষদের সভাপতির পদ অলংকৃত করেন নি। পরিষদের সূত্রপাতের সময় থেকে পরবর্তী কয়েক বছর সহকারী সভাপতি ছিলেন (দ্র, ক) রবীন্দ্রজীবনী-২, পৃ. ২০১ ; ৪, পৃ. ৩১৯, খ) রবিজীবনী-৪, পৃ. ১৪-১৫, ২৬১-৬২, ৬ পৃ. ৩৯-৪০) رسی\ ۹لا