পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবশেষে “প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ পর পর দুদিন—১৩৩৪ বঙ্গাব্দের ২৫ পৌষ ও ২৬ পৌব-সজনীকান্তকে ধরে বিশ্বভারতী আপিসে নিয়ে গেলেন।” (দ্র.—"নিপাতনে সিদ্ধ, পৃ. ৩১) উল্লেখিত দিনের তারিখ সম্বন্ধে আমরা নিশ্চিত নই। কারণ প্রশান্তচন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সজনীকান্ত যে ঐতিহাসিক পত্রটি রবীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন তার তারিখ ছিল, ১৩ ডিসেম্বর ১৯২৭ বাংলায় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ ২৭ আগ্রহায়ণ। পরপর দুদিন ১১/১২/১৯২৭ ও ১২/১২/১৯২৭ প্রশস্তিচন্দ্রের সঙ্গে গভীর আলোচনার মাধ্যমে সজনীকান্ত জানতে পারলেন যে তিনি কাজটি ভাল করেন নি ও রবীন্দ্রনাথ অতিশয় ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি লিখেছেন : “নিঃসংশয়ে বুঝিতে পারিলাম আমার অসাবধানে-ফেলা জল অনেক নীচ পর্যন্ত গড়াইয়াছে। আমি সমস্ত ব্যাপার জানাইয়া সরাসরি রবীন্দ্রনাথের শরণাপন্ন হওয়াই সমীচীন সাব্যস্ত করিলাম। সোজাসুজি সামনে যাইবার সাহস হইল না, একখানি দীর্ঘ পত্ৰযোগে আমার বক্তব্য নিবেদন করিলাম।” (দ্র. "আত্মস্মৃতি’, পৃ. ২১৭) G-\D চিঠির উপরাংশে বাঁদিকে লিখিত রয়েছে “গুরুদেবের কবিতা পাঠানো হোলো ৬/৯/৩৮।” (দ্র. রবীন্দ্রনাথের পত্র-১০) ১ বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের দিবস উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের লেখা যে স্বস্তিবচনটি সর্বাগ্রে পঠিত হবে বলে স্থির হয়েছিল। সেই সূত্রে এই স্মারক পত্রটি সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন। প্রসঙ্গত দীর্ঘ দশ বছর পাঁচ মাস পরে সজনীকান্ত ৫/৯/৩৮ তারিখে রবীন্দ্রনাথকে এই পত্রটি লেখেন। ২ স্যার নৃপেন্দ্রনাথ সরকার (কে. সি. এস. আই) ১৮৭৬-১৯৪৫। তিনি কলকাতা ও লণ্ডনে শিক্ষালাভ করেন। লব্ধপ্রতিষ্ঠ আইনজীবী —ব্যারিস্টার ও অর্থবান। ‘ভারতীয় কোম্পানী আইন’ ও ‘ভারতীয় বীমা আইন’-এর প্রবর্তক। > ぬ >