পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । *食 প্রত্যেক জমীদারির প্রত্যেক আদালতের এবং অন্য প্রত্যেক কার্য্যালয়ের কর্ম্মচারীদিগের মধ্যে হিতোপদেশ ও যথাযোগ্য ধর্ম্ম বিবৃত হওয়া কর্ত্তব্য ; কৃষকের কুটীরে, রাজার প্রাসাদে, বণিকের বিপণীতে যথা যেমন প্রয়োজন তেমনি জ্ঞান ধর্ম্ম প্রচারিত হওয়া অবিশ্ব্যক । যদি ব্রাহ্মের। আপনার একটি দল বাধিয়া লোককে খৃষ্টান করার ন্যায় সেই দলে অনিবার স্বার্থে ঐরুপ উপদেশ দেন তাহা হইলে কেহই তাহীদের কথা শুনিবেক না, বরং ঈশ্বরীয় হিতোপদেশকে বিষডুল্য জ্ঞান করিবেক । ব্রাহ্মগণ যেন কেবল এই অভিপ্রায়ে ধর্ম্মপ্রচার করেন, যে লোকে স্বাধীন থাকিয়া ধার্ম্মিক হইবেক, কিন্তু ব্রাহ্মদিগের দলে আসিবার নিমিত্তে নহে । এখন ব্রাহ্মগণ ও প্রতিমার উপাসকগণ উভয়ে এইটি মনে রাখুন যে জগতে মহোচ্চ সবলাধিকারী হইতে অতি নিম্নস্থ দুর্ব্বলাধিকারী পর্য্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন ধারণশক্তি-বিশিষ্ট লোক সকল চিরকালই থাকিবেক । ব্রহ্মজ্ঞানী, দুর্ব্বল-ব্রহ্মজ্ঞানী বিরাটভজ্ঞানী, মানসপৌত্তলিক, বাহাপোঁতলিক, প্রভৃতি শ্রেণীসকল পূর্বেও ছিল, এখনও আছে, পরেও থাকিবে । কিন্তু ব্রহ্মোপাসনায় সকলেরই মূল-অধিকার আছে, সেই মুল-অধিকার অবলম্বন করিয়াই জগতে নানা প্রকার পূজা অচ্চর্ণর এত ঘটা হইতেছে । ঐ রূপ পূজা করিতে করিতেই হউক বা অন্যরূপে যথাযোগ্য চিত্তশুদ্ধি দ্বারাই হউক সকলেরই ঐ মূলত্রহ্মজ্ঞানের অধিকার প্রশস্ত, হইবেক এবং সে প্রশস্ত্য প্রত্যেকের স্ব স্ব অগত্বা, স্বাধীনতা, অভিৰুচি ও