পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । % সেই সমুদয় শাস্ত্রে দুর্ব্বলাধিকারীর উপযুক্ত ব্যবস্থাও আছে, সবলাধিকারীর উপযুক্ত ব্যবস্থাও আছে । বেদ-পাঠে, ব্রহ্মমন্ত্র উচ্চারণে সকলের অধিকার ছিল না ; তন্ত্রশস্ত্রে চণ্ডালের পর্য্যস্তু অধিকার হইল । অসংখ্যাসংখ্য তন্ত্র দেশমধ্যে প্রচারিত হইয়া ইতরলোককে ধার্ম্মিক করিল, ধার্ম্মিককে ব্রহ্মজ্ঞানী করিয়া তুলিল । বর্ত্তমানকালে মানবের যত ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা থাকুক, সকলেই অণপন আপন অধিকার মত কনিষ্ঠোপাসনার বা ব্রহ্মারাধনার ব্যবস্থা ঐ সকল শাস্ত্রেতেই পাইবেন । কনস্ট্যাণ্টাইন নরপতি যেমন বাইবেলের কনিষ্ঠাংশ সকল নিক্ষেপ করিয়া ভাল অংশগুলি একত্র করিয়া গিয়াছেন , হিন্দুর ভদ্রপ শাস্ত্র হইতে কোন কনিষ্ঠ-ভাগকে বর্জন করেন নাই । সেই সকল থাকাতেই এদেশের শাস্ত্রের বিশেষ গৌরব হুইয়াছে ৷ ব্রহ্মজ্ঞানীরা পৌত্তলিকশাস্ত্র সমুহকে নষ্ট করিতে পারিতেন, পৌত্তলিকেরাও উপনিষৎ গুলিকে ভস্ম করিতে পারিতেন ; কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিতে ভিন্ন ভিন্ন অধিকার যে স্বভাবতঃ জন্মে ও উন্নত হয় তাহাকে কে নষ্ট করিতে পারিত ? বস্তুতঃ কি আশ্চর্য্য, ব্রহ্মজ্ঞানীরা জড়পূজাপ্রতিপাদক বেদ রক্ষা করিয়াছেন এবং পোঁতলিকের উপনিষৎ রক্ষা করিয়াছেন । ব্রাহ্মধর্ম্ম ব্রহ্মজ্ঞানকে অধিকাংশতঃ অবলম্বন করে এজন্য উহার অধিক উপকরণ উপনিষদে পাওয়া যায় । তদ্ভিন্ন সকল শাস্ত্রেই উহা বিরাজমান। ভারতবর্ষে অন্যধর্ম্ম যখনি একটা বাড়াবাড়ি করিয়াছে, ব্রহ্মজ্ঞান তখনি তাহাকে