পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ অধিকার-তত্ত্ব। এই সমস্ত গোলযোগের মধ্যে অনেক সাধু পুৰুয কিংকর্ত্তব্য-বিমুঢ় হইয়া নির্জনে দিনযাপন করিতেছেন । প্রকৃত ধর্ম্ম মানবের হৃদয়ান্তঃপুরে কুলবধুর বেশে অবস্থিতি করিতেছে । আদি ও ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ পরস্পর সমাজংস্কার লইয়া বিবাদ করিতেছেন । কতিপয় ব্রাহ্ম হিন্দুদিগের অযশভাজন হইয়া উঠিয়াছেন, আদিসমাজও স্বজাতীয় লক্ষ লক্ষ লোকের দুর্ব্বলাধিকারকে বিস্মৃত হইয়া রহিয়াছেন । যাহারা রূপনামনির্দেশবিবর্জিত, জ্ঞানস্বরূপ পরমেশ্বরকে বুঝিতে অপারক, তাহাদের প্রতিমা পূজা করা পাপ নহে ; সুতরাং তাহাতে সাহায্য করণও পাপ নহে ; বর্তমান কালোচিতরূপে যতদূর সম্ভবে আমাদের স্বজাতীয় ভাষা, জ্ঞান, ধর্ম্ম, রীতি, নীতি রক্ষা করাও উচিভ ভিন্ন অনুচিত নহে ; ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মোপাসনাই ভারতীয় ধর্ম্মের উচ্চ-আদর্শ এবং স্ব স্ব অভিৰুচি ও ধারণ অনুসারে কনিষ্ঠ-ধর্মের মধ্য দিয়া অথবা অন্য প্রকারে চিত্তশুদ্ধি দ্বারা সরলভাবে তা হাতে আরোহণ করা সকলেরই কর্তব্য ; ব্রহ্মবাদীরাই কনিষ্ঠোপাসকদিগকে ধর্ম্মশিক্ষা দিবার বিশেষ অধিকারী ; এই সকল শুভ সংবাদ ব্রাহ্মসমাজে, দেবমন্দিরে, চতুষ্পাঠীতে, গ্রামে, ও নগরে প্রচার করা এবং তদ্বিষয়ে ব্রহ্মজ্ঞ, নীতিজ্ঞ, শাস্ত্রজ্ঞ, ব্রাহ্ম ও বিদ্বানদিগের নিকটে সৎপরামর্শ লওয়া এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য । এই প্রস্তাব ব্রাহ্মসমাজ বা হিন্দুসমাজকে ধ্বংস করিবার নিমিতে উপস্থিত হইতেছে না । ব্রাহ্মসমাজ আমাদের