পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব । ዓፄ চয় পান, তাহার ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকার সেই পরিমাণ উন্নতি লাভ করে । ১০ । খৃষ্টানের কেবল বাইবেলই সম্বল। উহার প্রধান উদ্দেশ্য “ খৃষ্ট আসিবেন, ” “ খৃষ্ট-অসিয়াছেন," এই সুসমাচার প্রচার । তাহাতে ব্রহ্মজ্ঞানের ভাব আদে আনুসঙ্গিক, দ্বিতীয়তঃ স্থল । তাদৃশ বাইবেল হইতে আমরা কি ঋণ করিব ? তাহা যদি আমরা না করি তাহাতে অণমাদের দোষ নাই, বরং প্রতিষ্ঠা আছে। কিন্তু খৃষ্ঠানদেশের সবলাধিকারিগণ যদি হিন্দুশাস্ত্র হইতে জ্ঞান ধর্ম্ম উদ্ধার করিয়া লন, তা হাতে র্তাহারদের বিশেষ প্রতিষ্ঠা । ফলতঃ, খৃষ্টকে স্থিরতর রাখিয়া তাহারা তাহাও লইতেছেন ; এখন ভাহা দেখিয়া তাহাদিগকে অনুসরণ অর্থাৎ উদ্ধার করিতে হয় বলিয়া যদি আমরাও র্তাহারদের বাইবেল, মুসলমানের কোরাণ, ও কংফিউসসের গ্রন্থ প্রভৃতি হইতে ব্রহ্মজ্ঞান প্রতিপাদক শ্লোক সংগ্রহ করিতে যাই, ভাহা হইলে মহত্ত্ব প্রকাশ না হইয়া বরং হীনতাই প্রকাশ পাইবেক । আমারদের পূর্ব পুৰুষগণের রক্ষিত শাস্ত্রে যে পরিমাণ ব্রহ্মজ্ঞানের পরিচয়, তাহা আমারদিগের আত্মার ব্রহ্মজ্ঞানাধিকারকে যত দূর উন্নত করিয়া দিতে পরিবেক অন্য দেশীয় বচন সকল তাহার পোষকতা না করিয়া বরং সেই উন্নতির পথে নানাবিধ স্থল ভাব নিক্ষেপ করিবেক । ১১ । ভারতীয়-শাস্ত্রোক্ত অবতার বৃন্দ ভারতীয় ব্রহ্মোপাসনাকে তত পীড়ন করিতে পারেন নাই, যত ম্লেচ্ছ অবতার খৃষ্ট, মারকিন ও ইউরোপীয় ব্রহ্মোপাসনার ব্যাঘাৎ