পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধিকার-তত্ত্ব | So ৯ । এদেশীয় অভিনব ত্রাহ্মেরণ যখন বহু ইংরাজী গ্রন্থ পাঠ করিয়া দেখিলেন যে ইউনিটেরিয়ান খৃষ্টান সম্প্রদায় ও অপরাপর ইউরোপীয় ও মারকিন একেশ্বরবাদীরা খৃষ্টকে ধর্ম্মশিক্ষার প্রধান আদর্শ ও গুৰু করিয়া রাখিয়াছেন, তখন র্তাহারদেরও মনে ইচ্ছা হইল যে বিলাক্তের ও এমেরিকার একেশ্বরবাদীরা যদি খৃষ্টকে ধর্ম্মনায়ক করিলেন, তবে এদেশের ব্রাহ্মদিগেরও খৃষ্টকে ধর্ম্মনায়ক ও ধর্ম্মশিক্ষার অঙ্গদর্শ করা উচিত । এই ভাবটি র্ডাহারদের মধ্যে গোপনে গোপনে বৃদ্ধি পাইতে লাগিল । ১৭৮৬ শকের পৌষমাসে ব্রাহ্মসমাজ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র দুইটি দলে বিভক্ত হইল । তাহার পর হইতে অভিনব ত্রাহ্মেরা খৃষ্টকে আদর্শ করার ঔচিত্য বিষয়ক মত প্রচার করিতে লাগিলেন । উtহারদের মনে যে ঐ ভিন্নজাতীয় ভাবটি পূর্ব হইতেই প্রভিপালিত হইতেছিল, বোধ হয় প্রাচীন ব্রাহ্মেরাও একটু একটু করিয়া তাহা বুঝিতে পারিয়াছিলেন । স্ক্রযুক্ত প্রধান আচার্য্য মহাশয় হিমগিরি হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইয়া কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজে ১৭৮০ শকের ২৯ শে পোষ যে বক্তৃতা করেন তাহাতে ঈশ্বর ভিন্ন অন্য আদর্শের অনুকরণ করা যে অশ্রদ্ধেয় ও নিরুষ্ট তাহার ইঙ্গিত আছে, এবং ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজের কয়েকটি বক্তৃতাতেও তাহার আভাষ রহিয়াছে । তথাপি বোধ হয় অভিনব ব্রাহ্মদিগের সংসর্গগুণে তখন প্রাচীন ব্রাহ্মেরাও অনেকটা বিভ্রান্ত হইয়া নানাবিধ বিজাতীয় ভাবের অনুকরণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । ফলে তাহার সভ্যতা নিরূপণ করা সুকঠিন ,