পাতা:অধিকার-তত্ত্ব.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a a অধিকার-তত্ত্ব। দর্শন করিয়া থাকে। প্রতিমার সম্মুখে ভূমিষ্ট হইয়া সাষ্টাঙ্গে প্রণাম পূর্বক আপনাপন হৃদয়ের কেমন সরল প্রার্থনা প্রকাশ করে । “দুর্গ মা—ছেলে পিলেকে বাচিয়ে বর্ত্তিয়ে রেখে—আমাদের পেটে অন্ন দি ও ” ৪ । কিঞ্চিৎ কষ্ট স্বীকার করিয়া ধীর ভাবে ভণহণদের বিশ্বাসানুযায়ী ধর্ম্মেপদেশ দিতে পারিলে, তাহারদিগের ঐ ভক্তি অধিক জাগিয়া উঠিবেক ; তা হার অণুর সমেদহ নাই । তাদৃশ ধর্ম্মোপদেশের প্রভাবে তাছাদের আরো এই উপকার হইবেক যে, কলহ, বিবাদ এবং কুপ্রবৃত্তি তাহদের মধ্যে বাহ আছে তাহা ক্রমে তিরোহিত হুইবেক এবং তাহারদিগের কুটিরে ঋযি-উপভোগ্য, উপাদেয় শান্তি বিরাজ করিবেক । ৫ । কিন্তু তাছারদের বিশ্বাসানুযায়ী ধর্ম্মকে অবলম্বন না করিয়া কেবল শুষ্ক, নীতিগর্ভ উপদেশ দিলে অথবা * পরমেশ্বর এক এবং নিরাকার ” এ প্রকার সুক্ষ সত্যের শিক্ষা দিলে তা হা তা হাদের হৃদয়ে লাগিবেক না । অগ্রে তাহার দিগকে বল যে, “তোমাদের স্ব স্ব দেবতার প্রতি তোমর। সর্বদাই ভক্তি করিবে, কলহু বিবাদ করিলে তঁ{হার কষ্ট হইবেন, তাহাতে তোমাদের কামনা সিদ্ধ হইবেক না, পরিবারের মঙ্গল হুইবেক না ;” এইরূপ কথাতে তাহাদের হৃদয় অবশ্যই সায় দিবেক এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য নীতিগর্ভ উপদেশ ও ধর্ম্ম সম্বন্ধে আরো কিছু কিছু উন্নত উপদেশ ফলদায়ক হইতে থাকিবেক । ৬ । ইতর লোকদিগকে যে ধর্ম্মোপদেশ দেওয়া যাইবেক তাহার মধ্যে তাহারদিগের আত্মীয় ও স্বজাতীয়