বাড়িওয়ালা। আমাদের কী বা বুদ্ধি, তাই বুঝ্বো! সবই তো জানতুম, তবু তো বুঝিনি।
মাতাজি। তাই, ঐ দুইয়ের পিঠে দুই ব’লেই আমার মন্ত্র কিছুই সফল হ’চ্চে না!
স্ত্রী। (আত্মগত) বেঁচে থাক্ আমার দুয়ের পিঠে দুই! মন্ত্র সফল হ’য়ে কাজ নেই।
মাতাজি। উনপঞ্চাশের মতো এমন সংখ্যা আর হয় না!
বাড়িওয়ালা। (জনান্তিকে) শুন্লে তো গিন্নি!
স্ত্রী। (জনান্তিকে) শুনে হবে কী! তোমার উনপঞ্চাশ যে অনেককাল হ’লো পেরিয়েচে।
বাড়িওয়ালা। কিন্তু মাতাজিকে কি কালই সে বাড়িতে যেতে হবে?
মাতাজি। কাল ঊনত্রিশ তারিখে মঙ্গলবার প’ড়েচে, এমন দিন আর পাওয়া যাবে না!
বাড়িওয়ালা। ঠিক কথা! কাল ঊনত্রিশেও বটে, আবার মঙ্গলবারও বটে! কী আশ্চর্য্য! তা হ’লে তো কালই যেতে হ’চ্চে বটে! তা-ই ঠিক ক’রে দেবো! (মাতাজির প্রস্থান) এখন আমার সেই নতুন ভাড়াটেদের ওঠাই কী ব’লে। বিদেশ থেকে এসেচে, হঠাৎ তা’রা এখন বাড়িই বা পায় কোথায়?
স্ত্রী। তাদের আপাতত এই বাড়িতে এনে রাখো না! আমরা না হয় কিছুদিন ঝামাপুকুরে জামাইবাড়ি গিয়েই থাক্বো! তোমার ঐ মন্তরজানা মেয়েমানুষকে এখানে রেখে কাজ নেই! বিদায় ক’রে দাও। ছেলেপিলের ঘর, কার্ কখন অপরাধ হয়, বলা যায় কি?
বাড়িওয়ালা। সেই ভালো। তাদের কোনোরকম ক’রে ভুলিয়েভালিয়ে আজকের মধ্যেই উনপঞ্চাশ নম্বর থেকে বাইশ নম্বরে এনে