স্ত্রী। তিনি কে?
বাড়িওয়ালা। আগে বশ মানাই, তা’র পরে সাহস ক’রে নাম ব’ল বো!
মাতাজির প্রবেশ
মাতাজি। এ বাড়িতে আমার থাকার সুবিধা হ’চ্চে না। এর চেয়ে বড়ো বাড়ি আমাকে দিতে হবে।
বাড়িওয়ালা। এ বাড়ি ছাড়া আমার আর একটিমাত্র বড়ো বাড়ি আছে। সেটা বড়ো বটে, কিন্তু—
মাতাজি। তা ভাড়া বেশি দেবো, কিন্তু সেই বাড়িতেই আমি কাল যেতে চাই।
বাড়িওয়ালা। সবে পর্শুদিন সেখানে একটি ভাড়াটে এসেচে। একটি কোন্ সদর্আলার বিধবা স্ত্রী,—পশ্চিম থেকে মেয়ের জন্যে পাত্র খুঁজ্তে এসে আমার সেই উনপঞ্চাশ নম্বরের বাড়িতে উঠেছে।
মাতাজি। উনপঞ্চাশ নম্বর! ঠিক আমি যা চাই! তোমার এ বাড়ির নম্বর ভালো নয়!
বাড়িওয়ালা। বাইশ নম্বর ভালো নয় মাতাজি? কারণটা কী বুঝিয়ে বলুন।
মাতাজি। বুঝ্তে পার্চো না—দুয়ের পিঠে দুই—
বাড়িওয়ালা। ঠিক ব’লেচেন মাতাজি, দুয়ের পিঠে দুইই তো বটে! এততদিন ওটা ভাবি নি!
মাতাজি। দুইয়েতে কিছু শেষ হয় না, তিন চাই। দেখো না, আমরা কথায় বলি, দু’ তিন জন—
বাড়িওয়ালা। ঠিক ঠিক, তা তো ব’লেই থাকি।
মাতাজি। যদি দুই ব’ল্লেই চুকে যেতো, তাহ’লে তা’র সঙ্গে আবার তিন ব’ল্বো কেন? বুঝে দেখো!