আশু। কার বিবাহের কথা!
শ্যামা। তুমি আমাকে অবাক্ ক’র্লে বাপু! এতােক্ষণ কথাবার্ত্তার পর জিজ্ঞাসা ক’র্চো কার বিবাহের কথা! তােমারি তো বিবাহের কথা হ’চ্চিলো—কেবল পানপাত্রের কথা শুনে তুমি চম্কে উঠলে। তা পানপাত্র না হয় না-ই হ’লো।
আশু। (হতবুদ্ধিভাবে) ও, হাঁ, তা বুঝেচি, তাই হ’চ্চিলো বটে! (স্বগত) মস্ত একটা কী ভুল হ’য়ে গেচে। না বুঝে একেবারে জড়িয়ে প’ড়েচি। কী করা যায়! (প্রকাশ্যে) কিন্তু এতাে তাড়াতাড়ি কিসের, আর এক দিন এ সব কথা খােলসা ক’রে আলােচনা করা যাবে! কী বলেন?
শ্যামা। খােলসার আর কী বাকি রেখেচো বাবা! আর-এক-দিন এর চেয়ে আর কতাে খােলসা হবে। তাড়াতাড়ি তাে তুমিই ক’র্ছিলে। আস্চে রবিবারেই তুমি দিনস্থির ক’র্তে চেয়েছিলে!
আশু। তা চেয়েছিলুম বটে।
শ্যামা। তুমি দেখাশুনা ক’র্তে চাইলে ব’লেই আমি মেয়েকে তােমার সাক্ষাতে বের ক’র্লুম; তা’র গানও শুন্লে—এখন পানপাত্রের কথা শুনেই যদি বেঁকে দাঁড়াও, তা হ’লে তাে আমার আর মুখ দেখাবার জো থাক্বে না। তােমাকেই বা লােকে কী ব’ল্বে বাবা! ভদ্রলােকের মেয়ের সঙ্গে এমন ব্যবহার কি ভালো? আমার নিরু তােমার কাছে কী দোষ ক’রেছিলাে যে (ক্রন্দন)—
নিরুপমার দ্রুত প্রবেশ
নিরুপমা। মা, কী হয়েছে মা, অমন করে কাঁদ্চো কেন?
আশু। (স্বগত) কী সর্ব্বনাশ! আমাকে এঁরা সবাই কী মনে ক’র্বেন না জানি! (প্রকাশ্যে) কিছু হয় নি, আমি সমস্তই ঠিক ক’রে