পাতা:স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণ পৃঙ্খল নাটক । ৩৭ জুবলীলাক্রমে পরাজয় করিতে পারি। আমি ভূগুরামের শিষ্য, আমি ধনুৰ্ব্বাণ ধারণ করিলে দেব, নর, যক্ষ, রক্ষ কাহার সাধ্য আমার সম্মুখীন হয়। যদি আজ্ঞা হয় এই দণ্ডেই ইন্দ্র প্রস্থে গমন করিয়া, পাণ্ডবদিগকে বন্ধন করিয়৷ আনিয়া দিই । দ্ৰোণ । হা, হা, হা, দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরকালে কি তোমার ধনুৰ্ব্বাণ ছিল কর্ণ। না ? তুমি কি নিরস্ত্র, বিরথ ছিলে ? লক্ষ্মীরূপ পাঞ্চালী কৌরববধু না হইয়া পাণ্ডব গৃহিণী কেন হইল ? বৃথা স্পৰ্দ্ধ। বৃথা অহঙ্কার করিলেইতো বীরত্ব প্রকাশ হয় না । দ্রৌপদীর স্বয়ম্বরে তৃতীয় পাণ্ডবকে ব্রাহ্মণ জ্ঞানে উপেক্ষ করিয়া ছিলাম, নচেৎ এতদিনে অর্জুনের নাম ভূলোক হইতে বিলুপ্ত হইত। দ্রোণ। আঃ –কি ধৰ্ম্মজ্ঞানই তোমার! তুমি যে পূণ্য শ্লোকের মধ্যে এখনও কেন গণ্য হওনাই এই আশ্চর্য্য ! এ সভাতে এরূপ অলীক প্ৰগল্‌ভ তা করিতে তোমার লজ্জা হয় না? একের সহিত একাধিকের যুদ্ধ হইলেই সে ন্যায়বিরুদ্ধ, নীতিবিরুদ্ধ, কাপুরুষের কৰ্ম্ম,তাহাতে তোমরা একলক্ষ নৃপতি,ধৰ্ম্মভয়,লোকপিবাদ সকল বিসজ্জন দিয়া এক জনের সহিত--অর্ণর সে ব্যক্তি ব্রাহ্মণ—যুদ্ধ করিয়াছিলে । এখন বল ব্রাহ্মণ বলিয়। উপেক্ষা করিয়াছিলাম। সে যুদ্ধে যিনি যিনি অস্ত্র ধারণ করিয়াছিলেন, বীরগণের মধ্যে যেন তাহার। আর মস্তকোত্তোলন না করেন। হা, এই লক্ষ নৃপতির মধ্যে সাহস পূৰ্ব্বক কেহ অৰ্জুনের পক্ষ হইত, তবে যথার্থ বীরত্ব প্রকাশ পাইত ।