পাতা:স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

も切。 স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক । করেন, এ অতি স্থায়বিরুদ্ধ । পাশাক্রীড়ায় পণের রীতি এই যে, যে পণ একবার করা যায়,তাহার আর অন্যথা হয় না । দুৰ্য্যো । ( গৰ্জ্জন পূর্বক ) ওরে অল্পবুদ্ধি বালক । যে সভাতে তোর গুরুজন অধিষ্ঠিত, তুই কি সাহসে সেই সভাতে বাচালতা করিস্ ? তুই কি এই বিবেচনা করিস যে, এ সভাস্থ সকলেই অজ্ঞান, কেবল তুই জ্ঞানবান ? তুই কহিতেছিস যে, দ্রৌপদীতে পঞ্চ পাণ্ডবের সমান অধিকার থাক। প্রযুক্ত যুধিষ্ঠিরের একক পণ অসিদ্ধ ; কিন্তু ওরে মুঢ় ! যুধিষ্ঠিরের ভীমাদি অপর চারি সহোদর পূৰ্ব্বেই পণে পরাজিত হইয়া আমার দাস হইয়াছে । দাসগণের স্ত্রী অবশ্যই দাসী, সেবকের উপর প্রভুর যে কিরূপ অধিকার, তাহা জ্ঞাত নহিস্ ? দৌপদীর পঞ্চাংশের চারি অংশে পূৰ্ব্বেই আমার অধিকার হইয়াছে। অবশিষ্ট পঞ্চমাংশ মাত্র যুধিষ্ঠিরের পপ । আর তোর মতে স্বামী নিজ স্বাধীনত্বহীন হইলে তাহার আর স্ত্রীতে অধিকার নাই, এ কথা যুক্তিবিরুদ্ধ, শাস্ত্রবিরুদ্ধ ও লোকাচার বিরুদ্ধ, উত্তর-যোগ্যই নহে । পণ সিদ্ধ কি না, সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরকে জিজ্ঞাসা কর । বিকর্ণ। রাজা যুধিষ্ঠিরের বোধ করি কখনই— দুৰ্য্যো । তুই অতি অজ্ঞান ! এখনও রাজা যুধিষ্ঠির ! ( হা হা করিয়া হাস্ত ) রাজ্যহীন রাজা ! যা যা তোর কোন বোধ, শোধ, নাই, পাঠশালায় যাইয়া শিক্ষা করু, তোরে সভাতে আসিতে কে অমুমতি দিলে ? বৃষকেতু । মহারাজ ! যাই বলুন, দ্রৌপদী পণে রাজা যুধিষ্ঠিরের অধিকার নাই, ইহাতে সন্দেহ-বিরহ—