পাতা:স্বর্ণ-শৃঙ্খল নাটক.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃፀ স্বর্ণ শৃঙ্খল নাটক । ভারত-সস্তান, বিবেচনা কর, আমাকে রাজসভায় লইলে অপমানের আর সীমা থাকিবেক না । ইহাতে দুঃশাসন অনেক প্রকার অশ্রাব্য অবক্তব্য কটুবাক্য প্রয়োগপূৰ্ব্বক কহিলেক যে “যদি তুমি সহমানে না যাও, তবে তোমাকে বলপুৰ্ব্বক লইয়া যাইব ।” ইহাতে দ্রুপদবালা সাশ্রনয়নে অনেক বিনয় করিয়া তাহার নিকট প্রার্থনা করিলেন ; যে, তুমি আমাকে স্পর্শ করিও না, আমি এক্ষণে রজস্বল ও একবস্ত্রা আছি। দুঃশাসন এক কথায় ব্যঙ্গপূর্বক হাস্ত করিয়া কহিলেক, “তুই স্বৈরিণী, বেখ্যার আবার রজস্বলাই বা কি, একবস্ত্রাই বা কি ” এই কহিয়া—বলিতে হৃদয় বিদীর্ণ হয়, ব্যাসাদি ঋষিগণ রাজসূয় যজ্ঞে তাহার যে কেশ বেদমন্ত্রে অভিষিক্ত করিয়াছিলেন, তাহা ধারণ করিয়া কৃষ্ণাকে রাজসভায় আনয়ন করিলেন । বিকর্ণ। হা ! দ্রৌপদীর কেশাকর্ষণ ! সভামধ্যে কি একজনও ক্ষত্রিয় বিছর। ছিল না ? দ্রৌপদীর কেশাকর্ষণে সমুদয় ক্ষত্রিয়াঙ্গনার কেশ৷ কর্ষণ হইয়াছে । ক্ষত্রিয়-সভায় স্ত্রীলোকের অপমান, আর সে স্ত্রী যে রাজা যুধিষ্ঠিরের মহিষী ! যাহার সম্মুখে ক্ষত্রিয় মাত্রেই নতমস্তক হইয়া আপনাকে কৃতাৰ্থ জ্ঞান করিয়াছেন। সভায় কি ক্ষত্রিয়কুলতিলক, ভীষ্মদেব ছিলেন না ? হা ভীষ্ম ছিলেন বটে, কিন্তু ন্যায়পাশে তাহার হস্ত পদ বদ্ধ ছিল। কিন্তু যে ভীষ্ম পিতৃক্ষোভ নিবারণার্থে রাজ্য ত্যাগ পূর্বক, স্ত্রীবর্জন পূৰ্ব্বক, ব্রহ্মচৰ্য্য গ্রহণ করিয়া দেবতাদিগেরও পূজ্য হইয়াছেন, ত্রিভুবন লণ্ডভণ্ড হইলেও যাহার মনে বিকার জন্মে না, সেই ভীষ্ম দ্রৌপদীর অবস্থ}