পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[છોઝ] ફેં শাস্তিনিকেতন একজামিনেশন তো হয়ে গেলো এখন বুড়ির শরীর মনের অবস্থা কী রকম ? আর কত দিন কলকাতায় কাটাবি এখানে বেশ রীতিমতো ঠাণ্ডা। এখন বেলা দুপুর তবু ইচ্ছা করচে গায়ে একটা মোট কাপড় চড়াতে । ওদিকে বেল ফুল ফুটতে শুরু করেছে—বোমার বাগানে রজনীগন্ধা দেখা দিয়েছে – বাসন্তী ফুলে গাছ ছেয়ে গেল, বনপুলক ফুটতে আর দেরি নেই। শিমুলের ফুল ঝরে গিয়ে এখন নতুন পাতা ওঠবার আয়োজন দেখচি—শিলবৃষ্টি ও কুয়াশার উপদ্রবের ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠে অবশেলে আমার সেই অামের গাছটায় আর এক দফা বোল দেখা দিয়েচে । যখন ফল ধরবে তখন হয় তো আমরা কোথাও চলে যাব। সূৰ্য্যমুখীর দল কিছুদিন খুব ধুমধাম করে দেউলে হয়ে ঝাড়ে মূলে অন্তর্ধান করেচে। দু চার রকমের সীজন ফুল আজো আমার দুয়োরে হাজরে দিচ্চে। আর সেই লাল রঙের লিলি, একেবারে সার বেঁধে রাস্তার ধারে বাহার দিয়েচে । মণিপুরের নবকুমার এসেছে, ছুটিতে থাকবে । নাচ শেখবার দুর্লভ সুবিধে হয়েচে– এটাকে কিছুতেই উপেক্ষা করিসনে । বুড়ির যে স্বাভাবিক শক্তি আছে তাতেই তার যথার্থ আনন্দ ও >>