ছুটেছিলাে পিয়াসভরে
মরীচিকা-বারির তরে,
ধ’রে তা’রে কোমল করে
কঠিন ফাসি পরা’!
দয়ামায়া করিস্নে গাে,
ওদের নয় সে ধারা!
দয়ার দোহাই মান্বে না যে
এক্টু পেলেই ছাড়া!
বাঁধন-কাটা বন্যটাকে
মায়ার ফাঁদে ফেলাও পাকে,
ভুলাও তা’কে বাঁশির ডাকে
বুদ্ধিবিচারহরা!
অন্নদা। বুদ্ধিবিচার একেবারেই যায় নি! অতি সামান্যই বাকি আছে। তা’র থেকে মনে হ’চ্চে, ঐ যে যাকে জন্তু-জানােয়ার বলা হ’লো, সে সৌভাগ্যশালী আমি ছাড়া, উপস্থিত ক্ষেত্রে, আর কেউ হ’তেই পারে না! গানটি ভালো, সুরটিও বেশ, কণ্ঠস্বরও নিন্দা করা যায় না— কিন্তু রূপক ভেঙে সাদাভাষায় একটু স্পষ্ট ক’রে সবটা খুলে বলুন দেখি, —আমার সম্বন্ধে আপনারা কী ক’র্তে চান্! পালাবো এমন আশঙ্কা ক’র্বেন না, আপনারা তাড়া দিলেও নয়। কিন্তু কোথায় এলুম, কেন এলুম, কোথায় যাবাে, এ সকল গুরুতর প্রশ্ন মানবমনে স্বভাবতই উদয় হ’য়ে থাকে।
মাতাজি। তােমার স্ত্রীকে কি মাঝে মাঝে স্মরণ করাে?
অন্নদা। ক’রে লাভ কী, কেবল সময় নষ্ট! তাঁকে স্মরণ ক’রে যেটুকু সুখ, আপনাদের দর্শন ক’রে তা’র চেয়ে ঢের বেশি আনন্দ!
মাতাজি। তােমার স্ত্রী যদি তােমাকে স্মরণ ক’রে সময় নষ্ট করেন?