পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাতেই তিনি তৃপ্তি পান– মরা জিনিষ নিয়ে এমন করে মজিয়ম সাজানো চলে, যথাস্থানে তার প্রয়োজন আছে। কিন্তু পাণ্ডিত্যের ঘরগড়া কাঠামোর মধ্যে জীবধৰ্ম্মী পদার্থকে লেবল মেরে যিনি আত্মপ্রসাদ লাভ করেন তিনি অস্থানে আপন শক্তির অপব্যবহার করে থাকেন । তিনি বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে অবধি চিরকাল ছেলে-পড়ানো ব্যবসাতেই এতকাল কাটিয়েছেন, অর্থাৎ বাধা নিয়মের পুনরাবৃত্তি করেছেন ও উপরওয়ালাদের হুকুম মেনে চলেচেন । সেইজন্যই কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কেও তিনি মৃত পদার্থের মতোই ব্যবহার কবেচেন – নিজের চিত্ত থেকে তাকে কিছুই দিতে পারেন নি, বরঞ্চ তাল ক্ষয় সাধন করেচেন আশু মুখুজ্জে মশায়ের মনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সজীব রূপ ছিল— বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে তিনি পণ্ডিতী করেন নি, সৃষ্টিকৰ্ত্তাকাপে তার অন্তবের থেকে তার প্রাণশক্তিকে নব নব বিকাশের মধ্যে উদ্ভাবিত করতে প্রবৃত্ত ছিলেন । মৃত বস্তুর কোনো বালাই নেই, তাকে নেড়ে চেড়ে সাজিয়ে রাখলেই, স্কু পেরেক লাগিয়ে জোড়াতগড় দিতে পারলেই চুকে যায় ; কিন্তু সজীবের সঙ্গে কারবাবে সতেজ চিত্তের ও সমগ্ৰদূষ্টির প্রয়োজন হয় তাতে পদে পদে ভুলের আশঙ্কা আছে—কিন্তু শক্তিমানের হাতে সেই ভুল ও ভালো, পাণ্ডিত্যাভিমানীর জড় হস্তে প্রাণের অবমাননা এবং হুকুমের তামিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে গহিত । আশু মুখুজে মশায় জানতেন এদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি শেষ হয়ে যায় নি, সবে আরম্ভ হয়েচে । তাকে দেশের প্রাণের সঙ্গে মিলিয়ে X > 0