পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী فاه: তখন আমাদের এক প্রকার আরাম অনুভব হয় ; মনে হয় যেন এইরূপই বটে, যেন এইরূপ হইলেই ভাল হয় ! So, young muser, I sat listening To my Fancy's wildest word— On a sudden, through the glistening Leaves around a little stirred, Came a sound, a sense of music, Which was rather felt than heard. Softly, finely, it enwound me— From the world it shut me in— Like a fountain falling round me Which with silver water thin Holds a little marble Naiad sitting smilingly within. সঙ্গীত যদি এইরূপ নিঝর হইত ও আমরা যদি তাহার মধ্যে বসিতে পারিতাম, তাহা হইলে কি আনন্দই হইত ; মুহূর্তের জন্য কল্পনা করি যেন এইরূপই হইতেছে, এইরূপই হয় ! পৃথিবীতে না কি সকল স্থখই প্রায় উপভোগ করিয়াই ফুরাইয়া যায়, ও অবশেষে অসন্তোষ মাত্র অবশিষ্ট থাকে ; এই জন্যই যে সুখ আমরা ভাল করিয়া পাই না, যে সুখ আমরা শেষ করিতে পারি না, মনে হয় যেন সেই সুখ যদি পাইতাম, তবেই আমরা সন্তুষ্ট হইতাম। এমন লোক দেখা গিয়াছে, যে দূর হইতে স্বকণ্ঠ শুনিয়া প্রেমে পড়িয়া গিয়াছে। কেন না তাহার মন এই বলে যে, অমন যাহার গলা না-জানি তাহাকে কেমন দেখিতে, ও তাহার মনটিও কত কোমল হইবে । ভাল করিয়া দেখিলে পৃথিবীর দ্রব্যে না কি নানা প্রকার অসম্পূর্ণতা দেখা যায় ; কাহারো বা গলা ভাল মন ভাল নহে, নাক ভাল চোখ ভাল নহে, তাই আমরা বড় বিরক্ত, বড় অসন্তুষ্ট হইয়া আছি ; সেই জন্যই দূর হইতে আমরা আধখানা ভাল দেখিলে তাড়াতাড়ি আশা করিয়া বসি বাকিটুকু নিশ্চয়ই ভাল হইবে। ইহা যদি সত্য হয় তবে দূরেই থাকি না কেন, কল্পনায় পূর্ণতার প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করি না কেন, রক্ত মাংসের অত কাছে ৰ্ঘেষিবার আবশ্বক কি ? শরীর ও আয়তন যতই কম দেখি, অশরীরী ভাব যতই কল্পনা করি, বস্তুগত কবিতা যতই কম আহার করি ও ভাবগত কবিতা যতই সেবন করি, ততই ত ভাল ।