(১৮)
দেখদিনি খাটে কি না, মোরে ঘুমুতি দিত না, ঝিমুলি বল্তো, “ও পরাণ ঘুমুলে”।
সর। তুই ভাতারের নাম ধর্যে ডাকতিস্?
আদুরী। ছি, ছি, ছি, ভাতার যে গুরুনোক, নাম ধর্ত্তি আছে!
সর। তবে তুই কি বল্যে ডাকতিস্?
আদুরী। মুই বল্তাম, হ্যাদে ওয়ো শোন্চো—
(সৈরিন্ধ্রীর পুনঃপ্রবেশ)
সৈরি। আবার পাগ্লিকে কে খ্যাপালে?
আদুরি। মোর মিন্সের কথা সুদুচ্চেন তাই মুই বল্তি লেগিচি।
সৈরি। (হাস্যবদনে) ছোটবয়ের মত পাগল আর দুটি নাই, এত জিনিস থাক্তে আদুরীর ভাতারের গল্প ঘাঁটিয়ে ২ শোনা হচ্চে।
(রেবতী ও ক্ষেত্রমণির প্রবেশ।)
আয় ঘোষ দিদি আয়, তোকে আজ্ কদিন ডেকে পাঠাচ্চি তা তোর আর বার হয় না। ছোট বউ এই নাও, তোমার ক্ষেত্রমণি এসেছে, আজ্ কদিন আমারে পাগল করেছে, বলে দিদি ঘোষদের ক্ষেত্র শ্বশুর বাড়ি হতে এসেছে তা আমাদের বাড়ি এল না?
রেবতী। তা মোদের পত্তি এম্নি কের্পা বটে। ক্ষেত্র তোর কাকি মাদ্দের পরণাম কর।
(ক্ষেত্রমণির প্রণাম।)
সৈরি। জন্মায়তি হও, পাকচুলে সিঁদূর পর, হাতের ন ক্ষয় যাক, ছেলে কোলে শ্বশুর বাড়ি যাও।
আদুরী। মোর কাছে ছোট হালদার্ণির মুখি খোই ফুটতি