পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(৪)

আমরা বেতন প্রার্থনা করি না। তাহাতে উপহাস করিয়া কহিলেন, “তোমরাতো যবণের ভাত খাও না”।

 সাধু। যারা পেট ভাতায় চাক্‌রি করে, তারাও আমাদিগের অপেক্ষা সুখী।

 গোলোক। লাঙ্গল প্রায় ছেড়ে দিয়াছি, তবুতো নীল করা ঘোচে না। নাছোড়্‌ হইলে হাত কি? সাহেবের সঙ্গে বিবাদ তো সম্ভবে না, বেঁধে মারে সয় ভাল, কাযে কাযেই গত্তে হবে।

 নবীন। আপনি যেমন অনুমতি করিবেন আমি সেইরূপ করিব। কিন্তু আমার মানস এক বার মোকদ্দমা করা।

(আদুরীর প্রবেশ)

 আদুরী। মাঠাকুরণ যে বক্‌তি লেগেচে, কত বেলা হলো, আপনারা নাবা খাবা কর্‌বেন না? ভাত শুকয়ে যে চাল হইয়ে গেল।

 সাধু। (দাঁড়ায়ে) কর্ত্তা মহাশয়, এর্‌ একটা বিলি ব্যবস্থা করুন, নতুবা আমি মারা যাই। দেড় খানা লাঙ্গলে নয় বিঘা নীল দিতে হলে, হাঁড়ি সিকেয় উঠ্‌বে। আমি আসি, কর্ত্তা মহাশয় অবধান, বড় বাবু নমস্কার করি গো।

(সাধুচরণের প্রস্থান)

 গোলোক। পরমেশ্বর এভিটায় স্নান আহার কত্তে দেন, এমত বোধ হয় না, যাও বাবা, স্নান করগে।

(উভয়ের প্রস্থান)