পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిశి নীল-দপণ । গমন করিতেছেন, সীতার সহগমনের কোন উদ্যোগ দেখিতেছি না । আহা ! আহা ! পিতার অন্যহারে মরণ শ্রবণে সাত্তিশয় কাতর ছিলেন, পিতার পারণের জন্যেই প্রাণনাথ কাচা গলায় থাকিতে থাকিতেই স্বৰ্গধামে গমন করিতেছেন এক দৃষ্টিতে মুখাবলোকন করিয়া ) মরি, মরি, নাথের ওষ্ঠাধর একবারে শুষ্ক হইয়া গিয়াছে—ওগো ! তোমারা আমার বিপিনকে এক বার পাঠশালা হতে ডেকে এনে দাও, আমি এক বার ( সাশ্র নয়নে ) বিপিনের হাত দিয়! স্বামীর শুল্কমুখে একটু গঙ্গাজল দি । ( মুখের উপর মুখ দিয়া অবস্থিতি ) সকলে । আহা ! হা ! খুড়ী। ( গাত্র ধরিয়া তুলিয়া ) মা ! এখন এমন কথা মুখে এনে না, ( ক্ৰন্দন ) মা ! যদি বড় দিদির চেতন খালতো তবে একথা শুনে বুকফেটে মরতেন। সৈরি । মা ! স্বামী আমার ইহলোকে বড় ক্লেশ পেয়েচেন, তিনি পরলোকে পরম সুখী হন এই আমার বাসন। প্রাণনাথ! দাসী তোমার যাবজ্জীবন জগদীশ্বরকে ডাক্বে, প্রাণনাথ ! তুমি পরম ধাৰ্ম্মিক, পরোপকারী, দীনপালক, তোমাকে অনাথবন্ধু বিশ্বেশ্বর অবশ্যই স্থান দিবেন । আহ ! হা ! জীবনকান্ত ! দাসীকে সঙ্গে লইয়া যাও, তোমার দেব। রাধনার পুষ্প তুলিয়া দেবে । তা ছা তাঙ্গ মরি মরি মরি একি সৰ্ব্বনাশ । সী ছেড়ে রাম বুঝি যায় বনবাস ॥ কি করি ব কোথা সাব কিলে বঁাচে প্রাণ । বিপদ বান্ধব পর বিপদে বিধান ॥