পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দপণ । ○○ প্রতি অনেক সোয়াল হইয়াছিল, যদ্যপি তাহারা তালিমি সাক্ষী হইত তবে সেই সোয়ালেই পড়িত ; আইনকারকের বলিয়াছেন “ বিচারকর্তা আসামির আড় ভোকেট স্বরূপ ” সুতরাং আসামির পক্ষের যে সকল সোয়াল তাহা হুজুর হইতেই হইয়াছে, অতএব সাক্ষিগণকে পুনর্বার আনয়ন করিলে আসামির কিছুমাত্র উপকার দর্শাইবার সম্ভাবন নাই, কিন্তু সাক্ষিগণের সমূহ ক্লেশ হইতে পারে। ধৰ্ম্মাবতার! সাক্ষিগণ চণসউপজীবী দীন প্রজ, তাহারা স্বহস্তে লাঙ্গল ধরিয়া স্ত্রী পুত্রের প্রতিপালন করে, তাহারদিগের সমস্ত দিবস ক্ষেত্রে না থাকিলে তাহারদিগের আবাদ ধ্বংস হইয়। যায়, বাড়িতে ভাত খাইতে আইলে চালের হানি হয় বলিয়। তাহাদের মেয়েরা গামছা করিয়া অন্ন ব্যঞ্জন ক্ষেত্রে লইয়া গিয়া তাহারদের খাওয়াইয়া আইসে ; চাসাদিগের এক দিন ক্ষেত্র ছাড়িয়া আইলে সৰ্ব্বনাশ উপস্থিত হয়, এ সময়ে এত দূরস্থ জেলায় রাইতদিগের তলব দিয়া আনিলে তাহারদিগের বৎসরের পরিশ্রম বিফল হয় ; ধৰ্ম্মাবতার ! ধৰ্ম্মাবতীর যেমত বিচার করেন । মাজি। কিছু হেতুবাদ দেখা যায় না । ( উডের সহিত পরাশশ) অবশ্যক হইতেছে না । প্র মোক্তার। হুজুর । নীলকরের দাদন কোন গ্রামের কোন রাইয়ত স্বেচ্ছাধীন গ্রহণ করে না,আমিন খালাসির সমভিব্যtহারে নীলকর সাহেব, অথবা তাহার দেওয়ান ঘোড়ায় চড়িয়া ময়দানে গমন পূর্বক উত্তম উত্তম জমিতে কুটির মার্ক দিয়া রাহয়তদিগকে নীল করিতে হুকুম দিয়া আইসেন, পরে জমিয়াতের মালিকান রাইয়তদিগের কুটিতে ধরিয়া অ নিয়া বেওরাওয়ারি করিয়া দাদন লিখিয়া লয়েন, দt.