পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাল-দপণ । * > নীলকুটি তার যমালয় হইল। কাঙ্গালিনী জননী অামার অামায় নিয়ে মামার বাড়ি যান, পতিশোকে সেই খানে র্তার মৃত্যু হয়, মামারা আমাকে মানুষ করেন, আমি মালিনীর হস্ত হইতে হঠাৎ পতিত পুষ্পের ন্যায় পথে পতিত হইয়াছিলাম, প্রাণনাথ আমাকে আদর কর্যে তুলে নয়্যে গৌরব বাড়াইয়াছিলেন ; আমি জনক জননীর শোক ভুলে গিয়েছিলাম, প্রাণকান্তের জীবনে পিতা মাতা আমার পুনজীবিত হইয়াছিলেন, ( দীর্ঘনিশ্বাস ) অামার সকল শোক নূতন হইতেছে, আহ ! সৰ্ব্বাচ্ছাদক স্বামিহীন হইলে আমি আবার পিতা মাত বিহীন পথের কাঙ্গালিনী হইব । [ ভূতলে পতন ] খুড়ি । (হস্ত ধারণ পূর্বক উত্তোলন করিয়া) ভয় কি ? উতলা হও কেন ? মা ! বিন্দুমাধবকে ডাক্তর অন্তে লিখে দিয়াছে, ডাক্তার আইলেই ভাল হবেন । সৈরি । সেজোঠাকুরুণ ! আমি বালিকাকালে সেজেt. তির ব্রত করিয়াছিলাম, আলপানায় হস্ত রাখিয়া বল্যেছিলাম যেন রামের মত পতি পাই, কৌশল্যার মত শাশুড়ি পাই, দশরথের মত শ্বশুর পাই, লক্ষণের মত দেবর পাই ; সেজে ঠাকুরুণ! বিধাতা আমাকে সকলি আশার অধিক দিয়াছিলেন ; আমার তেঃজপুঞ্জ প্রজাপালক রঘুনাথ স্বামী ; অবিরল অমৃত-মুখী বধু প্রাণা কৌশল্য শাশুড়ী ; স্নেহপূর্ণ লোচন প্রফুল্লবদন বধুমাতা বধুমাতা বলেই চfন গ দিক আলো করা শ্বশুর, শারদ কৌমুদী বিনিন্দি ত ৰমিল বিন্দ মাধব আমার সীতা দেবীর লক্ষণদেবর অপেক্ষাও প্রিয়তর মা গো ! সকলি মিলেছে, কেবল একটি ঘটনার তামিল দেখিতেছি—আমি এখনও জীবিত অাছি--রাম বনে