পাতা:নীল-দর্পণ.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N o R নীল-দুপৰ্ণ । কবি। ডাক্তার বাবুটি অতি দয়াশীল, বিন্দু বাবু টাকা দিতে উদ্যোগী হইলে বলিলেন “ বিন্দু বাৰু তোমরা যে বিব্রত, তোমার পিতার শ্রাদ্ধ সমাধা হওয়ার সম্ভব নাই, এখন আমি তোমার কাছে কিছু লইতে পারি না, আমি যে বেহারায় আসিয়াছি সেই বেহারায় যাইব, তাহাদের আপনার কিছু দিতে হবে না। ... দুঃশাসন ডাক্তার হল্যে কৰ্ত্তার শ্রাদ্ধের টাকা লইয়া যাইত, বেটাকে আমি দুই বার দেখিছি, বেট যেমন দুৰ্ম্মখে তেমনি অর্থপিশাচ । সাধু। ছোট বাবু ডাক্তার বাবুকে সঙ্গে কর্যে ক্ষেত্রমণিকে দেখিতে আসিয়াছিলেন, কিন্তু কোন ব্যবস্থা করিলেন না । জামার নীলকর অত্যাচারে অন্নাভাব দেখে ক্ষেত্রমণির নাম করে ডাক্তার বাবু আমারে দুই টাকা দিয়া গিয়াছেন । কবি । দুঃশাসন ডাক্তার হল্যে হাত না ধর্যে বলতো, বঁচিবে না ; আর তোমার গোরু বেচে টাকা লইয়া যাইত। রেবতী । মুই সর্বস্ব বেচে টাকা দিতে পারি মোর ক্ষেত্রকে যদি কেউ বেঁচেয়ে দেয় । । ( চাল লইয়। রাইচরণের প্রবেশ ) কবি । চাল গুলিন প্রস্তরের বাটিতে ধৌত করিয়া জল ভানয়ন কর । ( রেবতীর তগুল গ্রহণ) হল অধিক দিও ন—এ বাটিটতে অতি পরিপাটী দেখিতেছি । রেবতী । মাঠাকুরুণ গয়ায় গিয়েলেন, অনেক বাটি এনেলেন, মোর ক্ষেত্রকে এই বাটিডে দিয়েলেন। আহা ! সেই মঠাকুরুণ মোর ক্ষেপে উচেচেন, গাল চেপড়ে মরেন বল্যে হাত ছুটে দড়ি দিয়ে বেদে এখেচে । %