পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানতেন না, এবং উপনিষদের অনুশাসন অনুসারে তার চিরজীবনের সাধনা ছিল শান্ত সমাহিত আত্মসংযতভাবের । ভক্তিপ্রেমের যে আবেগ তার মধ্যে ছিল তার একমাত্র পরিতৃপ্তি তিনি পেয়েছিলেন পারসিক সুফী কাব্যগ্রন্থে । অামাদের দেশের শাক্ত বা বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে যে ভাবোন্মাদের আলোড়ন আছে তাকে তিনি দূরে পরিহার কবেছিলেন তার প্রধান কারণ এ নয় যে ধৰ্ম্মবিশ্বাসে তার মনে একটা আভিজাতাবোধ ছিল, আমার বিশ্বাস তার প্রধান কারণ ঐ দুই ধৰ্ম্মমতেব সঙ্গে যে সকল মূৰ্ত্তি ও কাহিনী জড়িত তাকে তিনি আপ্যাত্মিক দিক থেকে নিৰ্ম্মল ও নিরাময় মনে করতেন না । সেই কাহিনীগুলিতে রূপকের মূলগত ভাব-প্রধান তা অতিক্রম কবে অতিবাস্তবের ভাববিরোধী স্কুলত্ব প্রকাশ পেয়েছে বলে তাল প্রতি র্তার চিত্ত নিরতিশয় বিমুখ ছিল । ধৰ্ম্মসাধন সম্বন্ধে তাৰ একটা অত্যন্ত শুচিত্ববোধ ছিল, সেই শুচিত্ব খৃষ্টান ধৰ্ম্মেব স্থূল মতবাদকে ও সহ্য করতে পারত না | রামমোহন রায়ের মধ্যে একেশ্বরবাদের একটা প্রবল এ কাস্তিকতা ছিল, যে জন্ত আজ ও ভারতবর্ষ তাকে প্রসন্ন মনে স্বীকার করতে পারেনি— আমার পিতা বাল্যকালেই সেই অতি বিশুদ্ধ একেশ্বরবাদের আদশ রামমোহন রায়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন– সেই কারণে বিগ্রহপূজার সংস্রবমাত্র যেখানে আছে সেখানে তার মন আঘাত পেয়েছে। কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ করেছিলেন খৃষ্টধৰ্ম্মেরু সিংহদ্বার দিয়ে– এইজন্যে আত্মউপলব্ধির বিশুদ্ধ আত্মসমাহিত আনন্দের সাধনা তার ছিল না— শাক্ত বৈষ্ণবধৰ্ম্ম ծ Հbr