পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্তর বাহিরের অবস্থা । সেই রকমই নিরক্ষর নিরুপায়, পূজা অৰ্চনা পুরুত পাণ্ড দিনক্ষণ তাগাতাবিজে বুদ্ধিশুদ্ধি সমস্ত চাপা-পড়া, উপরিওয়ালাদের পায়ের ধূলোতেই মলিন তাদের আত্মসম্মান, আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের সুযোগ সুবিধা তারা কিছুই পায় নি, প্রপিতামহদের ভূতে পাওয়া তাদের ভাগ্য, সেই ভূত তাদের বেঁধে রেখেছে হাজার বছরের আগেকার অচল খোটায়, মাঝে মাঝে য়িহুদী প্রতিবেশীদের পরে খুন চেপে যায় খন পাশবিক নিষ্ঠুরতার আর অস্ত থাকে না, উপর ওয়ালাদের কাছ থেকে চাবুক খেতে যেমন মজবুত, নিজেদের সমশ্রেণীর প্র ি অন্তায় অত্যাচার করতে তারা তেমনি প্রস্থত । এই • হোলো ওদের দশ7,-— বৰ্ত্তমানে যাদের হাতে ওদের ভাগ্য, ঠ বেজেব ম েতা তার। ঐশ্বর্য্যশালী নয়, কেবল মাত্র ১৯১৭ খস ব্দের পর থেকে নিজের দেশে তাদের অধিকার আরম্ভ হয়েচে — রাষ্ট্রব্যবস্থা আটে ঘাটে পাকা হবার মতে সময় এবং সম্বল বা পায় নি— ঘরে বাইরে প্রতিকূলতা— তাদের মধ্যে আত্মবিদ্রোহ সমর্থন করবার জন্যে ইংরেজ এমন কি আমেরিমানবা ও গোপনে ও প্রকাশ্বে চেষ্টা করেচে। জনসাধারণকে সক্ষম ও শিক্ষিত কবে তোলবার জন্যে তারা যে পণ করেচে তার “ডিফিকাল্টি” ভারত কর্তৃপক্ষের ডিফিকাল্টির চেয়ে বহু গুণে বড়ো। এতএব রাশিয়ায় গিয়ে বেশি কিছু দেখতে পাব এ রকম আশা করা অন্যায় হোত । কিইবা জানি কিইবা দেখেচি যাতে আমাদের আশার জোর বেশি হতে পারে । আমাদের দুঃখী দেশে লালিত অতি দুৰ্ব্বল e \రి