পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঘাত পেয়েছিলুম সামলে উঠতে সময় লেগেছিল। এই সব ক্ষত বিক্ষত পদার্থকে সংশোধন করা আমার মতে কুড়ে লোকের পক্ষে অসম্ভব । আমি জানি এ সম্বন্ধে আমার নিজের বিশেষ ভাষা ও ভঙ্গীই আমার প্রধান শত্ৰু । রিপোটের ছাচের মধ্যে তাদের শোচনীয়তা ঘটে । যত ভালোই হোক সব কথাই যে ধরে রাখতে হবে এমন অত্যস্ত গরজ নেই— কিন্তু যে কটা কথা থাকে স্থস্থ অবস্থায় থাকলেই বাচি । কলম্বোর কলাসদনে যখন বক্তৃতা দিয়েছিলেম তখন রিপোর্টার ছিল এবং যে রিপোর্ট তারা বানিয়েছিল সেটা তাদেবি যোগ্য । এটাকে আমি বর্জন করেছিলুম কিন্তু আমাকে অপদস্থ করবার জন্তে কে এই ছেড়া জিনিষ আমার অগোচরে আপনার কাছে পাঠিয়েছে । ওটা নিতান্তই অপ্রকাশ্য— ওকে জাতে তুলতে গেলে যে শুদ্ধির প্রয়োজন তৎপরিমাণ ধৈর্য্য আমার নেই। আপনার সম্পাদকীয় নিমতলার ঘাটে ওটাকে অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্যে পাঠিয়ে দেবেন। জিনিষটার ভিতর এমন কিছুই নেই যাতে করে ওর অবলুপ্তিতে কোনো অনুশোচনার কারণ ঘটতে পারে । সম্প্রতি লেখনীর কাজে আমার নিরতিশয় বৈরাগ্য দেখা দিয়েছে । হয় তো আমার শেষ আশ্রম এইরকম লেখাবিরল অবস্থাতেই কাটবে। কবিতার তহবিল শূন্য হয়ে গেছে । ফসলের শেষ কুড়ানি একটা বইয়ের মধ্যে মরাইজাৎ হয়েছে— আমার জন্মদিনের মধ্যে সেটা বেরবার কথা । অনেকগুলি চিঠি আমার দপ্তরে জমা হয়েছে, তার মধ্যে আত্ম্য অনাত্ম্য X & 8