এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হরিলক্ষ্মী
পরদিন দুপুর-বেলায় ঘরের মধ্যে মৃদুশব্দে হরিলক্ষ্মী চোখ চাহিয়া দেখিল, বিপিনের স্ত্রী বাহির হইয়া যাইতেছে। ডাকিয়া কহিল, মেজবৌ, চলে যাচ্চো যে?
মেজবৌ সলজ্জে ফিরিয়া আসিয়া বলিল, আমি ভেবেছিলাম, আপনি ঘুমিয়ে পড়েছেন। আজ কেমন আছেন দিদি?
হরিলক্ষ্মী কহিল, আজ ঢের ভাল আছি, কই তোমার ছেলেকে আনো নি?
মেজবৌ বলিল, আজ সে হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়লো দিদি।
হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়্লো মানে কি?
অভ্যাস খারাপ হয়ে যাবে ব’লে আমি দিনের-বেলায় বড় তাকে ঘুমোতে দিই নে দিদি।
হরিলক্ষ্মী জিজ্ঞাসা করিল, রোদে রোদে দুরন্তপনা ক’রে বেড়ায় না?
মেজবৌ কহিল, করে বই কি। কিন্তু ঘুমোনোর চেয়ে সে বরঞ্চ ভাল।
তুমি নিজে বুঝি কখনো ঘুমোও না?
মেজবৌ হাসিমুখে ঘাড় নাড়িয়া বলিল, না।
হরিলক্ষ্মী ভাবিয়াছিল, মেয়েদের স্বভাবের মত এবার হয়
১২