পাতা:হরিলক্ষ্মী.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হরিলক্ষ্মী

নাই, তথাপি অনাবশ্যক অপরিচ্ছন্নতা এতটুকু কোথাও নাই। স্বল্প বিছানা ঝর্‌ ঝর্‌ করিতেছে, দুই-চারি খানি দেব-দেবীর ছবি টাঙানো আছে, আর আছে মেজবৌয়ের হাতের নানাবিধ শিল্পকর্ম্ম। অধিকাংশই পশম ও সূতার কাজ, তাহা শিক্ষানবীশের হাতের লাল ঠোঁটওয়ালা সবুজ রঙের টিয়াপাখী অথবা পাঁচরঙা বেরালের মূর্ত্তি নয়। মূল্যবান ফ্রেমে আঁটা লাল-নীল-বেগুনি-ধূসর-পাঁশুটে নানা বিচিত্র রঙের সমাবেশে পশমে বোনা ‘ওয়েল-কম্‌’ ‘আসুন বসুন” অথবা বানান-ভুল গীতার শ্লোকার্দ্ধও নয়। লক্ষ্মী সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করিল, ওটি কার ছবি মেজবৌ, যেন চেনা চেনা ঠেক্‌ছে।

 মেজবৌ সলজ্জে হাসিয়া কহিল, ওটি তিলক মহারাজের ছবি দেখে বোনবার চেষ্টা করেছিলাম দিদি, কিন্তু কিছুই হয় নি। এই কথা বলিয়া সে সম্মুখের দেয়ালে টাঙানো ভারতের কৌস্তুভ, মহাবীর তিলকের ছবি আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দিল।

 লক্ষ্মী বহুক্ষণ সেইদিকে চাহিয়া থাকিয়া আস্তে আস্তে বলিল, চিন্‌তে পারি নি, সে আমারই দোষ মেজবৌ, তোমার নয়। আমাকে শেখাবে ভাই? এ বিদ্যে শিখতে যদি পারি ত তোমাকে গুরু ব’লে মানতে আমার আপত্তি নেই।

২০