পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শক্তি ও ভক্তি অনুসারে যার যখন খুসি পরিতোষ প্রকাশের জন্তে কবিকে পারিতোষিক পাঠাতেন তাহলে কপিরাইট আগলানোর মতো বণিগবৃত্তি সরস্বতীর মন্দিরে অশুচিত বিস্তার করত না। রুচিও আছে রৌপ্যও আছে জনসমাজে এমন সমাবেশ দুর্লভ নয় অথচ তারা দুটাক পাচশিকার _পরিমাণেই তাদের দাক্ষিণ্য প্রকাশ করেন— তার ফলে যাদের রুচি আছে অথচ সামর্থ্য নেই দণ্ডটা তাদেরই নিষ্ঠুরভাবে ভোগ করতে হয় । বাণীকে সোনার দরে বিক্রির বৈশারীতি ববর্বরতা এ কথা মানতেই হবে । অন্তরতর শব্দের প্রয়োগ বেদে পাওয়া যায়, যথা, তদেতৎ প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়ো বিত্তাং প্রেয়োশুন্যস্মাৎ সৰ্ব্বস্মাৎ আস্তরতর যদয়মাত্মা | জ্যোতিদাদার গানেও এই অস্তরতর শব্দের প্রয়োগ আছে, প্রয়োজন অনুসারে আর একটু সুর চড়িয়ে এই তরকেই আমি তম করেছি। ইতি ৮ জুলাই ১৯৩৫ আপনাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর እ ጥሎ”