পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেবল সাদা টুপীর ক্ষার চটকদার গাউনের মেলা। তার ক্রমে ক্রমে যুগল মূৰ্ত্তিগুলি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ত, দের গলার স্বর মাস্তে আস্তে ওকবনের ভিতর মিলিয়ে কিন্তু ইয়ার চোখে সারা দেশ খুঁজলেও মারীর মিলন্ত না। মাঝে মাঝে নিজের হীন জীবনের কথা করে ইয়ার মন খারাপ হয় যেত। ছোট একখানি হজে চড়ে কত সাত-সমুদ্র তের-নদী পার হয়ে বেড়ানকি মুখের জীবন! সে লুদ্ধভাবে তাই বসে বসে ভাবত। স্থতার তরুণী সঙ্গিনীর তারার মত উজল চোখ আর ফুলের মত মিঠে হালি একবার দেখলেই, সেসব মুখের ছবি iান শূন্যে মিলিয়ে যেত তার ঠিক নেই। এক রবিবারে, ভোর বেল উঠে খুব দুটোছুটি করে একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। দুই বন্ধুতে গিয়ে তখন সেই ঘন ওকগাছের ঝাড়ের ভিতর ঢুকে বদলাম। সেখানট ঠাণ্ড। গ্রামের গির্জার ঘণ্টার ধ্বনি দূর থেকে বেশ నలకో* হয়ে কানে এসে পৌছচ্ছিল। আকাশে 鑒 জয় জড় 蠶 সে একেবারে ফুল পাতার গন্ধে ভর আমাদের সামনেই একটি বেড়া, ছোট ছোট গাছ সার দিয়ে লাগিয়ে সেটা তৈরি করা হয়েছে, তার গায়ে জল সোনালি ফুল ফুটে উঠেছে। বেড়ার পর একটি ছোট লঙ্ক দলে ল থেকে আরম্ভ হয়ে একটা পাথরের ঢিপিতে সর শেষ হয়েছে। টিপ্লিট প্রথমে বোধই কালোই ছিল, ধন কিন্তু জল-বাতাসের গুণে অসংখ গাছপালা তার বুকে উঠেছে সে এখন সবুজে সবুজ L ঠাণ্ডা ছায়ায় বসে জামাদের বেশ ঘুম ধরে আসছিল, এমন সময় সামনের কারমেন পায়ের শব্দ শোনা গেল। আমরা চট্‌ করে উঠে বদলাম। ডালপালাগুলো একটু করে দেখলাম, ক’হাত দূরেই ইয়। আর মারী দাড়িয়ে ভুলছে দেখতে দেখতে দুজনের হাতে দুটি বিচিত্র রঙের প্রাস্তার ধার জুড়ে তখন কেবল ফুলেরই মেল! কোথাও সৰ্ব্ব দিরের চুড়ার মত হয়ে ফুল বাতালে স্থলছে, কোথায় বা অনেকখানি জাপ্পা লুড়ে ফুটে উঠে মাঠে স্বকুলের গালিচ পেতে দিয়েছে। ফ্রন্থদুর চোখ বায়ু, জংলী গাছ-গাছড়া ভরা মাঠ চলে গিয়েছে, তার লক্ট্ৰীছলাম, আমাদের আর দেখতে পেল না। [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মাঝে মাঝে নীল । ফুলের বৃটি ঝিকৃপ্তি করছে। চারিদিকেই একটা আনন্দের আর প্রাণের হিল্লোল, সকালবেলার আলো আর ছাওয়ার স্পর্শ পেয়ে সবাইকারই হাসিমুখ ! মারী আর ইয়। ফুলের তোড়া হাতে এগিয়ে আসতে লাগল। আমরা তখন বুঝলাম যে তারা কি কৰ্বে এসেছে। ব্ৰেতাঞএ একটা দস্তুর মাছে যে বাগদত্ত তরুণতরুণী । সকাল বেলায় এসে পাথরের ঢিপির উপর দুই তোড়া ফুল রেখে যায়। সন্ধের সময় ফিরে এসে যদি দেখে যে ফুল । তথনও শুকিয়ে যায়নি তা হলে সেটা খুবই সুলক্ষণ, শুকিয়ে o 演 সংখ্যা মি জাহাজ খালালীর কাজ না নেওয়ার জন্তে পন্থাই। আমি যদি পনেরো কি ষোল বছর বয়সে কাজ স্থঙ্ক করতাম তাহলে ত এত দিনে টাকাকড়ি গুছিয়ে ফিরে আসতে পারতাম।” - “কিন্তু ইয়া, কত লোক যে একেবারেই ফেরেনি।" এই কথার পরই তার উঠে পড়ল। ছপুর হয়ে সেছিল, তার মাবার গায়ের রাস্ত ধরে ফিরে চলল। iাদের ওঠার শব্দে চারিদিকে সাড়া পড়ে গেল, পাখীরা তাদের বৈতালিক গান ধরে দিল, গাছের ফুলগুলির মাথ৷ kt DDD DDDD DD DD DDD DDBB uSZSeS BB BBBS BBBBBB BBBBB আমাদের এই পুরানো আচারটির কথা বলেছিল। টিকে নমস্কার করছে। - ওরা ছজন সেই পাথরের ট্রিপির কাছে এসে ফুলের । গুচ্ছ দুটি তার উপর রেখে দি তারপর বেড়ার পাশে । খাওলা-ঢাকা পাথরখানার উ* স্বয়ল, আমরা গাছের আমরাও এই প্রেমকাহিনীটির গল্প করতে-করতে বাড়ী ফিরলাম। বিকেল হয়ে আসতেই কে যেন আমাদের কলের মত চালিয়ে নিয়ে গিয়ে সেই পাথরের ঢিপির কাছে হাজির করে দিল। দেখতে দেখতে ওক-গাছের সারের মাথার উপর শুক্লপ্লকের চাঁদ উঠে পড়ল। গলানো রূপোর ধারার মত তার আলো মাঠে বনে আর সাগরের ঢেউয়ের উপর ঝরে পড়তে লাগল, এ যেন হঠাৎ কোন অজানা অচেনা পরীর দেশে এসে পড়েছি। - ওক-গাছের ঝাড়ের আর সামনের ঐ কুলগাছের বেড়ার ভিতর দিয়ে মাঝে-মাঝে একটা মৃদু কম্পন দেউয়ের মত পেলে যাচ্ছে। চাদের আলোয় অভিষিক্ত পাথরের টিপিট তার মন্ত মাথ উচু করে দাড়িয়ে ; তাকেও যেন এখন আর চেনা যাচ্ছে না, সে যেন এ পৃথিবীর জিনিষ ন। আমাদের মনে হচ্ছিল যেন এখুনি সবুজ পাতার জড়িাল থেকে দলে দলে তরুণী পরী-বালিকার বেরিয়ে এসে এই স্কুলের গালিচার উপর লঘু পায়ে তাদের আশ্চর্য নাচ তারা কথা বলছিল। তাদের কথা আর কিসের । নিজেদের ভালবাসা, আশা-ভরসা, সুখদুঃখের কথা ছাড়া প্রণদীপ্রণয়িনীতে আর কি কথা হয় ? - মারী দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলল “আহ, আমরা যদি বড় লোক হতাম !”. - “বড়লোক হওয়া ত সহজেই যায়। কিন্তু যে কম। রোজগার, তাতে কি করে টাকা জমাব বল ? এখান থেকে - ক্রোশখানেক দূরে ইভ কার্দেকের খামারবাড়ীখান দেখেছ : ত? সে ওটা ভাড়া দিচ্ছে, দুশ ফ্রাঙ্ক খাজনা বছরে। জমিটাত খুবই ভাল। আমি হাতে পেলে, এক বছর আচ্ছ । করে থেটেই তার পরের বছরের খাজনার জোগাড় করে নি।” “আমাদের দুজনের ত ক্ষমতা নেই। এমন কিছু ওর অৰ্দ্ধেক টাকা দেবারওঁ । নয় যে বাজে খরচ করি। : (! তোমাকে গেল - বছরের মাঝামাঝি অবধি বাপমাকে ol. ফুলের তোড়া দুটির কি খাওয়াতে হয়েছে, আমাকে ত এখনও মাকে খাওয়াতে । ... ! তারা যে মাথা মুইয়ে একেবারে ঝরে পড়েছে, হচ্ছে। আমাদের আরও দেরি করতে হবে।” লের মধুর বাতাসে মিলিয়ে l “আমাদের বেলা খালি দেরি অন্তর কেমন 蠶 ` ***** "* 、謁 - - - ছে, ফুল না শুকবেই বা AeAeSeAJS কেন ? কিন্তু ওরা এটা একটা ভারী অমঙ্গলের চিহ্ন য়ে ছাই, বেশী টাকাকড়ি নেই ? হঠাৎ একই সঙ্গে আমাদের ছজনের মাথায় খেরাল এসে হাজির হল। আমরা ঐ বেড়া থেকে গুলি তাঞ্জা ফুল তুলে, ছুটি তোড়া বানিয়ে ফেলুল্লায় দুটিই ঠিক এক-রকম দেখতে ফুলগুলির পাপ। পাপড়িতে শিশির কণা তখনও মুক্তোর মত টল্টজ স্করছে শুকনে ফুলের গুচ্ছ দুটি তুলে নিয়ে আমরা এই টি সেই জায়গায় রেখে দিলাম। ত্রেভিস হাতে-হাসতে বল্ল নিয়তিষ্ঠাকুরুশুকে সাহায্য করা গেল। মন্দ কাজ ত আর কিছু করছি না কয়েক মিনিট চুপ করে থেকে সে আবার হঠাৎ ত্ব উঠল, “আচ্ছ, দেখ ভালবার, এক কাজ করলে হয় না? একটা কাণ্ড যখন করছি, তখন সেট শেষ অবধি করা: আমাদের টাকার গেজে অবিহি খুব বেশী ভারী নয়, স্থা হলেও ঐ কটা টাকা দুজনে মিলে দিলে এমন কিছু হয়ে পড়ব না! আস্চে শীতকালে তুমি না হয় গোটা বেশী গল্প লিখ, আর আমিও কাগজে বার-কয়েক করে পেন্সিল চালাব এখন, তা হলেই পুষিয়ে ঘারে। ঙ্কি বল ?” - o “হ্যা হ্যা নিশ্চয়, আমি যে এতক্ষণ ও কর্থী ভৱিনি সেই আমার বোকামি। ওদের দুজনের মুখ স্থাতে ছন্ন করতেই হবে, তাতে আমাদের একটু ক্ষতি হয় হবে আমরা যে একটা সুন্দর গল্পের শেষটাও স্বল্পর করেছে এই স্মৃতি নিয়ে ব্ৰেতাঞ্জ ছেড়ে যেতে পারব।" বল্লামাত্রই কাজটাও করা হয়ে গেল। দুজনে পরেই থেকে গোট দশ মোহর বের করে ফুলগুলোর পাশে রেখে দিলাম। * . এমন সময় পায়ের শঙ্ক শোনা গেল, আমরা গাছের আড়ালে সরে গেলাম। এক মিনিট পূরেই মারী মারই এসে দাড়াল । - “इंग्रंi, আমার এমনি ভয় করছে, যদি কোন অঙ্গলের । চিহ্ন দেখি মারীর গল কেঁপে গেল। ইয়া কোনো উত্তর দিল না। দুজনে পাথরের টি