পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০৮ প্ৰৱাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪ ৫৪১ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড বাবুর বাবস্থা বেসরকারী রকমের । এই অধ্যায়টি প্ৰবাসীতে প্ৰায় সাড়ে আঠার লক্ষ ছাত্ৰছাত্ৰীয় জন্য গবৰ্ণমেণ্ট খরচ কৰিলে যা ই । এতখানি জায়গা েদওয়া কৰিছিলেন ১৯৭২, অৰ্থাৎ প্ৰাণ নাশ - সম্ভবপর নয় বলিয়া ইহা উদ্ধত করিলাম না। টাকা। কিন্তু দশ হাজার ইউরোপীয় ছাত্ৰছীীর জন্ত বঙ্গে শিক্ষার ব্যয় গণমেণ্ট খরচ করিয়াছিলেন ১৮,৫১,৮৫১ টাকা । অৰ্থাৎ প্ৰায় দেড় মাস হইল আমরা বাংলাদেশের ১৯১৫-১৬ দেশের সাধারণ ছাত্ৰছাৰ্থীদের জন্য সরকার মাথাপিছু চারি টাকার উপর খরচ করিয়াছিলেন ; কিন্তু ইউরোপীয় ছাত্ৰ সালের শিক্ষাবিক সরকারী রিপোট পাইয়াছি । ঐ বৎসর ছীেদের জন্য খরচ করিয়াছিলেন মাথাপি প্ৰায় ৮ ংলাদেশে শিক্ষার ব্যয় হইয়াছিল ২,৫৮,৭৮,৩৪৮, টাক টাকা । ভারতবাসী ইউরোপীয়রা যে হারে ট্যাক্স দেন, ইহার মধ্যে ছাত্ৰো বেতন দিয়াছিল ১,১৫,৪৩,১২৯ তাহা কি, আমরা যে-হারে টাকা দি, তাহার কুড়িগুণেরও টাকা এবং চাদ ও শিক্ষার চণ্ড প্রদত্ত গত মূলধন আদি আদিক ? নতুবা এক্সপ পক্ষপাতিত্ব য়ায়সঙ্গত্ব হয় কেমন হইতে আয় হইয়াছিল ৪২,৮১,৮১৭ টাকা । গবৰ্ণমেণ্ট প্ৰাদেশিক রাজস্ব হইতে ৮,০৯,৬৭২ টাকা দিহাছিলেন এবং ডিট্ৰিক্ট বোেৰ্ডও মিউনিসিপালিটসমূহ হইতে পাওয়া ছাত্ৰ ও ছাত্রীদের শিক্ষার ব্যয় শিয়াছিল যথাক্ৰমে ২,৭৮,৫৭০ টাকা ও ১,৭ সাধারণ কলেজে ছাত্রদের শিক্ষার মোট সাক্ষাং বা টাকা । ইহা হইতে দেখা যাইতেছে যে শিক্ষার বায়ের হইছিল ১৭,২৮,৫৯৭ কে এবং ছাৰ্নীদের জন্য হই , সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী অংশ ছাৰো৷ বহন করিয়াছিল । ত’ ছাড়া ছিল ৫২,৩৪৩ টা নেডিক্যাল কলেজ-আদি বৃতি সৰ্ব্ব-সাধারণে চালাও দিয়াছিল বিস্তর টাক, এবং বদান্ত শিগার কলেজে ছাত্রদের জন্য মোট সংক্ষাৎ বায়ু হইয়াছিল বিদ্যোৎসাহী লোকেরা নিগার জন্য যে সম্পত্তি ও মুলধন ৮,৭১,৯৩৮ টাকা, হা দে স্থা হইয়াছিল ৭,৩৯০ টাকা । দিহা গিয়াছেন, তাহা হইতে ও অনেক জায় হইয়াছিল; উচ্চ ও মধ ণ হলে ছাদের বা ৭২,৫৪, ১৫ এবং ভারত প্ৰবাসী সরকারী ও বেসরকারী অনেক ইংরেজ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্ৰদের সামাদিয়াকে অপমানিত কুবিধার জন্য মধ্যে মধ্যে বলি৷ ১৯ এবং ছাদের জন্য ৫,৬২,২৭১ যে আমরা ভিক্ষকদের মত গবৰ্ণমেটের নিকট ট্ৰেনিং স্কুলে ছাত্রদের জন্ম ৩,২৭,৯২৭ ; মামীদের মন্ত্ৰ , হইতে ভিক্ষণস্বৰূপ শিক্ষা পাইয়া থাকি ইহা বে কিরুপ ৭২ অগ্রান্ত বিশেষ স্কুলে ছাদের জয় ১০,৫৩৬২ ; মিথ্যা কথা, তাহা উপরের অঙ্কগুলি হইতে দৃষ্ট হইবে । িক জুীপে অন্য ৩ বাৰিক যদি ছাত্রেরা এক পয়সাও বেতন না দিত, সৰ্ব্ব বা ১,৪৯, ১১,৭৭১ ছাত্রীদের জন্য সাধারণে এক পয়সাও চাঁদা না দিত, কিয়া সম্পত্তি-অ৮ি শিক্ষাৰ্থে দান না করিত, যদি শিক্ষার সমগ্ৰ ব্যয় বসনেণ্ট ইহা ছাড়া গৃহনিৰ্ম্মাণ আসবাব প্ৰভৃতির জন্তু পরোক্ষ বহি আছে । বিস্তু তাতা ছাত্র ও ছাত্রদের জন্য পৃথক্ কবি করিতেন, তাহা হইলেও শিক্ষা-বিয়ে অমাদিগকে দেখান হয় নাই । যাহা দেখান হইয়াছে, তাহা হইতেই তিক্ষোপজীবী বলা চলিত না। কারণ গাৰ্ণেনেটের টাক বুঝা যাইতেছে, মে, বেশের লোক ও গবৰ্ণমেণ্ট পুকুদ্যে মানে কোনও ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীর বা রাজকৰ্ম্মীদিগের ইংলণ্ড হইতে আনীত পৈত্ৰিক সম্পত্তির আয় নহে ; ইহার শিক্ষায় যতটা মন বেণ ও ব্যয় করেন, নারীদের শিক্ষা তাহার দশভাগের একভাগ মনোযোগ ও বার করেন : মানে আমাদেরই প্ৰদত্ত টার এ অবস্থায় দেশের উন্নতি কেমন করিয়া হইবে ? নারীরা ইউরোপীয়দের শিক্ষার ব্যয় । মানুষ, তাহাঁদেরও অস্থা আছে। তাবাদেরও মুক্তি এৰা ১৯১৫-১৬ সালে সমুদয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৮,৪৪, জীবনের সাৰ্থকতা শিক্ষার উপর নিৰ্ভর করে । এবং শিক্ষা তন্মধ্যে ইউরোপীয় ছাত্রছাত্ৰী ছিল ১৭,৩৮৭ লাভ কৱিবাৱ ক্ষমতাও ত বাদের আছে ২য় সংখ্যা] বিবিধ প্ৰসঙ্গ—ীশিক্ষার বিরুদ্ধে আপত্তি নিজেদেরই সঙ্গলের মঞ্চ তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়া উচিত । যাহা অতিক্ৰম কৃষ্টিলে পুরুষ বা নারীর অনিষ্ট হইতে পারে । তা ছাড়া, নারীদের শিক্ষা ভিন্ন কথন দেশের উন্নতি হইতে যদি পাটীগণিতের যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ শিখিলে ক্ষতি না। পারে না’। তাহার দেশের অৰ্দ্ধেক পুৰুষদের উন্নতি হয়, তাহা হইলে ত্ৰৈাশিক শিথিলে অনিষ্ট হইবে, এরপ নারীর উন্নতির উপর নিৰ্ভর করে। অশিক্ষিতা মাতা গ্ৰী মনে করা যাইতে পাৱে না। যদি পাটীগণিত শিখিলে ভগিনী পুৰুষদের উন্নতি ও অগ্ৰগতির কারণ না হইয় বরং অনিষ্ট না হয় তাহা হইলে বীজগণিত শিখিলে অনিষ্ট হইছে, অনেক সময় তাহদের অবনতি ও জড়তার কারণ, হন এৰূপ মনে করিবার কারণ কি ! কেহ কেহ মনে করেন, উচ্চশিক্ষণ দিলে মেয়েদের স্বাস্থ্য খারাপ হয় । আমাদেয় স্ত্ৰীশিক্ষার বিরুদ্ধে আপত্তি । দেশে তাহা অনেক স্থলে হয় বটে, কিন্তু তাহা শিক্ষা দোহে যাহারা নারীদের কোন-প্ৰকার শিক্ষার তাৰকাত নয় । তাহার কারণ, ব্যামের ব্যবস্থার অভাব, অবরোধ স্বীকার কবে না, এসব কথা তাহদের জন্য লিখিতেছি না । প্ৰথা, এবং পরীক্ষা সম্বন্ধে কুনিয়ন, ইত্যাদি । বে-সৰ দেশে হোৱা শিক্ষার আবশ্যকতা স্বীকার করেন, তাহারা মান এই কাণগুলি বিবদমান নাই, তথাকার উচ্চশিক্ষিত ভাগে বিভক্ত কেহ কেহ বলেন, লেখা পঢ়া না শিখাইয়াও মহিলাদের স্বাস্থা খারাপ নয়। এমন মতও আছে মেহেদিগকে শিক্ষা দেওয়া যায় ; তাহারা বাড়ীতে থাকি বেশী লেখাপড়া শিথিলে নারীর নারী কমিয়া গিয়া নায়ী নদিগের কাজ বেদিয়া শিখে । ইহা কিয় পৰ্যন্ত পুরুষের মত হইয়া যায় আমরা ইহা ঠিক্ মনে করি ঠিক্‌ ; কিন্তু যতটা গান লাভ ও অন্তবি শিগার প্রয়োজন অস্ত্ৰ ব্লাপিলে নারী নারী থাকে, জ্ঞান পাইলে তাহারা এপে ততটা শিপা বালিকাদিগকে দেখা যায় না; আর অংর-কি হইয় বায়ু, ইহা বড় অত কথা । বিধাতায় কাজ একদল মনে করেন যে বৰ্তমানে প্রচলিত ছারীদের শিক্ষা এত চাচা নয় যে তুমি আমি নারীদিগকে একটু জ্ঞান লাভের প্ৰণালী ছাত্ৰাধের শিক্ষার অনুক্ষপ ; কিন্তু উভয় গা সুযোগ দিলেই তাহাদেৱ নাঙ্গীত লোপ পাইবে । শিক্ষা ভিন্ন ভিয় রকমের হওয়া উচিত সাহিত্য, ইতিহাস, বিষয়ে উচ্চ ও নিম্ন প্ৰভৃতি বিশেষণ আপেক্ষিক । আমাদের পোণ, গণিত, দৰ্শন, পদাৰ্থবিজ্ঞান, স্বাস্থাত , প্ৰতি দেশে যাহাকে উচ্চ শিক্ষা বলা হয়, অনেক দেশে তাহা বিষয়ে সাধারণ স্না প্ৰয়োজন স্বীকার করি না ? কি এমন কতকগুলি বিষ পাইয়া অনেক সুবক অহঙ্কারী, বিনীত, অমানুষ হয় আছে, যাহা ছাত্ৰীদের শিক্ষা করা বেশ দরকার ; দেমন কিন্তু তস্য যেমন পুরুষদের উচ্চ শিক্ষা বন্ধ কৰি গৃহক, শিশুপালন, ইত্যাদি। এ ও দ্বীদের শিক্ষার প্রস্তাব বিবেচক লোকেরা করে না, কেবল বলে যে শিক্ষা বিধা ও প্রণালীতে খুব বেশী পাৰ্থক্য রাখা দরকার বলিয়া প্ৰণালীরই উৎকৰ্ষ সাধিত হওয়া উচিত ; তেমনি যদি তথা স্বীকার করিলেও তাহতে শিক্ষা অনাবশ্যকতা প্ৰমাণ কথিত উচ্চ শিক্ষা পাইয়া কোন নারী নারীত্বে হীনহন , হয় না । ইহাই প্ৰমাণ হয় যে ছাত্রীদের শিক্ষা নুতন কমে তাহা ইণেও তথ্য শিক্ষার দোষ দেওয়া যুক্তিসঙ্গত নয়। হওয়া দরকার। এই মতই যদি ঠিক্‌ হয়, তাহা চইলে বাস্তবিক আমরা নিজ অভিজ্ঞতা হইতে দেখিতেছি যে উচ্চ তদনুসারেই দেশের সমুদয় বালিকা শিক্ষার ব্যবস্থা করা শিক্ষা পাইয়াও পুৰুষদের মধ্যে যে পরিমাণে, অমানুষ দেখা এই মতাবলম্বীরা নিজ মত অনুযায়ী শিক্ষার জয় যায়, উচ্চশিক্ষিতা নারীদের মধ্যে তপ দেখা যায় না। আন্তরিক চেষ্টা করুন ৰাকদিগকে শিক্ষা দিয়া বালিকা. শিক্ষা নারীত্ব নষ্ট হয় যাহারা বলে তাহাদেৱ প্ৰথম কৰ্ত্তব্য দিগকে অশিক্ষিত বাধা মহা অনিষ্ট কারণ অনেকের নারীত্বের সংজ্ঞা নিৰ্দেশ করা একপ মত আছে যে স্ত্ৰীলোকদের উচ্চশিক্ষা অনিষ্টকর, … বাস্তবিক, কাহাকে কতদূত পৰ্য্যন্ত জ্ঞান লাভ করিতে অন্ততঃ উহা নিয়োজন । আমরা এই মতকে বা মনে দেওয়া হইবে, বিষয়ে একটা সাধারণ নিয়ম নিৰ্দেশ করা করি। কোন বিদাতেই এমন একটা সীমারেখা নাই, মূৰ্গত। মাত্ৰ প্ৰত্যেক” ছেলে উচ্চতম শিক্ষা পায় না,